পবিত্র রমজানে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির লক্ষ্যে ‘সেন্ট্রাল টিসিবি মেনেজমেন্ট সিস্টেম’ এর মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। এসময় ঈশ্বরদী সাঁড়া ইউনিয়নে ১ হাজার ৪০০ কার্ডধারীর মধ্যে টিসিবি’র পণ্য বিতরণ করা হয়।
রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস।
ঈশ্বরদী উপজেলা কমিশনার (ভূমি) টিএম রাহসিন কবীরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নায়েব আলী বিশ্বাস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার।
প্রত্যেক কার্ডধারী ক্রেতা ২ কেজি মশুরের ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি চিনি, ২ কেজি ছোলা ক্রয় করতে পারবে। মশুরের ডাল ৬৫ টাকা, ১১০ টাকা সোয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা চিনি, ছোলা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হবে।
জালিয়াতি ও প্রতারণা প্রতিরোধে সেন্ট্রাল টিসিবি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার সিস্টেম উদ্বোধন করেন উপজেলা আইসিটির সহকারী প্রোগ্রামার মাসুদ রানা।
ঈশ্বরদী উপজেলা আইসিটির সহকারী প্রোগ্রামার মাসুদ রানা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন এরই ধারাবাহিকতায় ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসন এই প্রযুক্তির সফটওয়্যার তৈরি করেছে। টিসিবি পণ্য যেনো ন্যায্যমূল্যে খাদ্যদ্রব্য বিক্রি অন্যান্য সরকারি সহযোগিতা চুরি প্রতিরোধে টিসিবি খাদ্যবান্ধব এই কর্মসূচি প্রযুক্তির মাধ্যমে মনিটরিং ও পরিচালিত করা হবে।
তিনি আরও জানান, একটি অ্যাপস থেকে পরিবার পরিচিতি কার্ড স্ক্যান করে সাবমিট করলেই সফলভাবে ফলাফল জানা যাবে এবং সেন্টালে রিপোর্ট চলে যাবে। ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের ৩৮টি উপজেলায় ৪ লাখ ৭৭ হাজার কার্ড মনিটরিং হবে।
ঈশ্বরদী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইউএনও) পিএম ইমরুল কায়েস জানান, উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সহকারী প্রোগ্রামার মাসুদ রানা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ঈশ্বরদী তথা পাবনা জেলার জন্য এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। একটি ড্যাশবোর্ড কার্যক্রম মনিটরিং ও পরিচালিত হবে সেন্ট্রাল থেকে টিসিবির পণ্য চুরি ও জালিয়াতি এবং একই ব্যক্তি একই সময়ে একাধিক সহযোগিতা বা উপকার গ্রহণ করতে পারবেনা।
ইউএনও ইমরুল কায়েস আরও জানান, ঈশ্বরদী উপজেলার উদ্ভাবিত এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সারাদেশে প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা ও মনিটরিং করা যাবে।
