শনিবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদীতে অনুমতি ছাড়া গাছ কাটার অভিযোগ বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
এপ্রিল ২৯, ২০২৩ ৪:৪৯ অপরাহ্ণ

ঝড়ে ভেঙে পড়ার নামে ঈশ্বরদী উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন লোক লাগিয়ে ৫৮টি বড় ও মাঝারি সাইজের বাবলাগাছ কেটে ফেলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রশাসনকে না জানিয়ে এবং গাছ কাটার বিষয়ে রেজুলেশন ছাড়াই একক সিদ্ধান্তে গাছগুলো কেটেছেন তিনি। গত সোমবার বিকেলে ৮-১০টি বাবলাগাছ ঝড়ে ভেঙে ও হেলে পড়ে। তবে এ বিষয়ে বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত টি এম রাহসিন কবিরকে দেওয়া হয়েছে মিথ্যা তথ্য।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন কেটে ফেলা বাবলাগাছগুলো দেখতে গেলে কৌশলে বন কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন এসি ল্যান্ড রাহসিন কবিরকে গাছ চুরি ঢাকতে অন্য জায়গায় নিয়ে যান। এসব অভিযোগে উপজেলা বন কর্মকর্তাকে শোকজ করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা।

স্থানীয় মো. আফজাল হোসেন জানান, প্রায় ২০-২৫ বছর আগে রাস্তার দুই পাশে একটি সমিতির নামে গাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল। সমিতির সদস্যরা মিলে গাছগুলো পরিচর্যা করে বড় করি। এত বছরে গাছগুলো ব্যবহার উপযোগী হয়েছে। অথচ এখন আমাদের বাদ দিয়ে নানা বাহানায় গাছগুলো কেটে সাবাড় করে ফেলেছে তারা।

সিরাজুল ইসলাম জানান, ঝড়ে উপড়ে পড়ার অজুহাতে গাছগুলো কাটা হয়েছে। সারা বছরই তো আর ঝড় থাকে না। তার পরও গাছগুলো কাটা হয়। এগুলো স্থানীয় কিছু ব্যক্তি নিজেদের দলীয় নেতা পরিচয় দিয়ে কেটে নিয়ে যাচ্ছে।

মুলাডুলি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল বানেজ জানান, ঈশ্বরদী উপজেলা বন কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেনের নির্দেশে আজমল নামের এক ব্যক্তিকে হেলে পড়া সাতটি গাছ ও কিছু গাছের ডালপালার কাটার নির্দেশ দেওয়া হয়।

মুলাডুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক মালিথা জানান, রাস্তার দুই পাশে বন বিভাগের থাকা গাছ কাটার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

ঈশ্বরদী উপজেলা বন কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান, গাছ কাটার বিষয়ে কোনো আপস নেই। ঝড়ে হেলে পড়া ও ভেঙে যাওয়া কিছু গাছ কেটে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি নিজে উপস্থিত থেকে গাছগুলো কাটিয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, লোকমুখে অনেক গাছ কাটা হয়েছে শুনে এসি ল্যান্ডকে নিয়ে ঘটনাস্থল যাই। গিয়ে এর কোনো সত্যতা মেলেনি।

উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এসি ল্যান্ড) বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত টি এম রাহসিন কবির জানান, বন কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন উপজেলা প্রশাসন থেকে কোনো অনুমতি নেননি। কোনো রেজুলেশনও করা হয়নি। গাছগুলো একক সিদ্ধান্তে কেটেছেন তিনি। যা তিনি কখনোই করতে পারেন না। তাকে শোকজ করা হবে।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

আপনার জন্য নির্বাচিত

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ