প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেয়নি ডিএমপির গুলশান থানা পুলিশ। উল্টো দেশ থেকে পালিয়ে যেতে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যরা সহযোগিতা করছে বলে মনে করছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান।
রোববার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ঢালিউড সুপারস্টার।
শাকিব খান বলেন, রহমত উল্লাহ প্রযোজক না, তার সঙ্গে আমার কিংবা পরিচালকের কোনো চুক্তি নেই। এতো বছর পর প্রতারক রহমত উল্লাহ যে অভিযোগটা নিয়ে এলেন তার বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমার লিগ্যাল টিম সব তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, শনিবার রাতে গুলশান থানা আমাদের মামলা নেয়নি, গড়িমসি করেছে। আমি একজন সাধারণ নাগরিক হয়ে থানায় গিয়েছি, মামলা করতে পারব না এটা আশ্চর্যজনক মনে হয়েছে। আমি গতকাল রাত থেকে শুনতে পারি যে এই প্রতারক দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে। সে দেশ ছেড়ে আজ-কালের মধ্যে পালিয়ে যাবে। সেজন্য দ্রুততার সঙ্গে গতকাল রাতে আমি থানায় গিয়েছিলাম।
যোগ করে এই নায়ক বলেন, আমাদের ডিবি যেকোনো মামলা বা অভিযোগ দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তি করে। সেজন্য ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন-অর রশিদের সঙ্গে কথা বলি এবং এসে দেখা করেছি। তিনি দীর্ঘসময় নিয়ে আমার সব কথা শোনেন। তিনি সব বিষয়গুলো খতিয়ে দেখেছেন। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করছেন এই প্রতারককে যত দ্রুত সম্ভব আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন। আমি আশ্বস্ত হয়েছি এবং আমার বিশ্বাস অন্যসব ঘটনার মতো আমার অভিযোগের বিষয়টিও দ্রুততার সঙ্গে ডিবি নিষ্পত্তি করবে।
ডিবির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন জানিয়ে শাকিব বলেন, আমি ডিবির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি, ডিবি তা গ্রহণ করেছে। আমার বিশ্বাস ডিবি আমার এই অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
গতকাল রাতে গুলশান থানার ওসিসহ অন্যান্য অফিসারদের আচরণের বিষয়ে শাকিব খান বলেন, গতকাল রাতে গুলশান থানার ওসি ও অন্যান্য অফিসারদের অ্যাকটিভিটিস দেখে আমার মনে হয়েছে, তারা এই প্রতারককে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করছে কিনা। আমার কাছে এটা সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে একটা সাধারণ মামলা নিতে তারা এতো গড়িমসি কেন করবে। এভাবে কেন বলবে যে আপনারা বলেন আমি মামলাটি নিলাম না। প্রতারককে পালিয়ে যেতে তারা সহযোগিতা করেছে কি না এখন এটা আমার সন্দেহ। আগে তো তারা মামলা নেবে, তথ্য উপাত্ত যাচাই করে বলবে যে ভুল আছে কোনো।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শাকিব খানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ এর শুটিংয়ে শিডিউল ফাঁসানো ও সহ-নারী প্রযোজককে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন রহমত উল্লাহ নামে এক প্রযোজক। ওই প্রযোজকের নামে মানহানি মামলা করতেই শনিবার রাতে গুলশান থানায় গিয়েছিলেন শাকিব খান।
আরও পড়ুন :