সোমবার , ১ আগস্ট ২০২২ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

সাংবাদিককে পেটালেন পৌর মেয়রের ভাই

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
আগস্ট ১, ২০২২ ৩:৪৩ অপরাহ্ণ
সাংবাদিককে পেটালেন পৌর মেয়রের ভাই

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম নামে এক স্থানীয় সাংবাদিককে পিটিয়ে গুরুতর আহতের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার বেলা ২টার দিকে আলফাডাঙ্গা পরিবহন বাসস্টান্ডে এ ঘটনা ঘটে। আহত মুজাহিদকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মুজাহিদ ঢাকাটাইমস’র নিজস্ব প্রতিবেদক ও আলফাডাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক।

হামলায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আলফাডাঙ্গার রাজধানী পরিবহনের কাউন্টারে টিকেট কেনার জন্য যায় উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মোসলেম খানের ছেলে রমিজ নামের এক যুবক। তিনি ঢাকার একটি টিকেটের দাম পরিশোধ করে বাসে উঠে পড়েন। ঠিক বাস ছাড়ার আগ মুহূর্তে ‘ক্যাশ কাউন্টার’ থেকে বলা হয় রমিজ টিকিটের টাকা দেননি। তাই তাকে ঢাকায় যেতে দেওয়া হবে না। রমিজ বিষয়টি সাংবাদিক হিসেবে মুজাহিদের সহযোগিতা চান। মুজাহিদুল ইসলাম ও রমিজের বাড়ি একই গ্রামে। ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টির মীমাংসা করার কথা বলতেই সাংবাদিক মুজাহিদের ওপর চড়াও হয় কাউন্টারের ম্যানেজার জাপান ও তার সহযোগীরা। জাপান আলফাডাঙ্গা পৌর মেয়র সাইফুর রহমানের ছোট ভাই। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে মুজাহিদকে বেধড়ক পেটানো শুরু করে তারা। আহত অবস্থাকে তাকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানীরা নিয়ে গেলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখান থেকে বিকেল ৫টায় তাকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আহত সাংবাদিক মুজাহিদুল ইসলাম জানান, আলফাডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র সাইফুর রহমান সাইফারের ভাই জাপান ও তার ৫/৬ জন সহযোগীরা হঠাৎ করে হামলা চালায় তার উপর। তিনি বলেন, হামলাকারীরা লোহার রড, স্ট্যাম্প, দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে পেটায়। এ সময় স্থানীয়রা হামলাকারীদের হাত থেকে তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে তাদের ওপরও চড়াও হয় দুর্বৃত্তরা। আলফাডাঙ্গার পৌর মেয়র সাইফুর রহমান সাইফার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি।

আলফাডাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সেকেন্দার আলম বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি মুজাহিদকে দুর্বৃত্তরা লোহার রড, কাঠের বাট্যাম দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার হাত ও পায়ে বেশ জখম হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকরা তাকে ফরিদপুরে মেডিক্যালে রেফার্ড করেন’।

সাংবাদিক মুহাজিদকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এমন হামলা করা হয়েছে বলে এই সাংবাদিক নেতা জানান। আমরা মুজাহিদকে ফরিদপুর মেডিক্যাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যালে রওনা দেব।

এদিকে স্থানীয় প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি জানিয়েছেন। এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রশ্রয় এ উপজেলায় দেওয়া যাবে না। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় না আনলে সাংবাদিকরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলে জানা গেছে।

সোমবার বিকেলে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুপার সুমন কর বলেন, ‘বিষয়টি জানার পরপরই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে এটা মামলা হিসেবে নেওয়া হবে। সাংবাদিক নির্যাতনের সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ’

ফরিদপুরে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হককে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ