বৃহস্পতিবার , ২১ জুলাই ২০২২ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. নির্বাচন

ঈশ্বরদী উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
জুলাই ২১, ২০২২ ১২:২১ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরদী উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

দেশের ৫২ উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত


পঞ্চগড় এবং মাগুরা জেলার সকল উপজেলাসহ সারা দেশের ৫২টি উপজেলা শতভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আরও ২৬ হাজার ২২৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

টানা তিনবারের সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা আরও আনন্দিত, আমাদের উদ্যোগের ফলে একটা প্রাথমিক সফলতা আমরা অর্জন করতে পেরেছি। সেটা হলো পঞ্চগড় এবং মাগুরা জেলার সকল উপজেলাসহ সারা দেশের ৫২টি উপজেলা সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হলো।

কেউ ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকলে তা জানানোর আহ্বান জানিয়ে সরকারি কর্মকর্তাসহ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেন আপনাদের এলাকায় কেউ ভূমিহীন-গৃহহীন আছে কিনা। অন্যান্য দলেরও যারা কারো কাছে যদি খবর থাকে অবশ্যই আমাদের খবর দেবেন।

প্রতিটি মানুষের আবাসন নিশ্চিত করার প্রত্যয় পুর্নব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের বাংলাদেশে শতভাগ ভূমিহীন-গৃহহীন পুনর্বাসন হবে। প্রত্যেকটা মানুষ তার ঠিকানা পাবে। সেটাই আমরা চাচ্ছি।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘দলমত নির্বিশেষে যেই গৃহহীন থাকবে আমরা তাদের ঘর করে দেবো। ঘর করে তাদের ঠিকানা দেবো, তাদের জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করে দেবো। দলমত হয়তো ভিন্নতা থাকতে পারে, তাতে কিছু আসে যায় না। দেশটা তো আমাদের। আর আমি যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, তার মানে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব আমারই।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মত ভিন্নতা থাকতে পারে, পথ ভিন্নতা থাকতে পারে, আদর্শ ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু তারপরও মানুষ মানুষই। কাজেই মানুষকে আমি মানুষ হিসেবে দেখি। প্রত্যেকটা মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে সেটাই আমি চাই। আমার বাবার সেটাই শিক্ষা। এ দেশের মানুষের জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করে দিয়ে যেতে চাই।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণ করাই আমার লক্ষ্য। সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি। বাংলাদেশের মানুষকে যেন সুন্দর জীবন দিতে পারি, সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি। ’

শতভাগ ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ৫২ উপজেলা হলো: পাবনার ঈশ্বরদী, ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা, মাদারীপুরের মাদারীপুর সদর, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, টাঙ্গাইলের গোপালপুর, মানিকগঞ্জের ঘিওর ও সাটুরিয়া, রাজবাড়ীর কালুখালী, ফরিদপুরের নগরকান্দা, নেত্রকোণার মদন, ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা, নান্দাইল, ফুলপুর ও ফুলবাড়ীয়া উপজেলা, জামালপুরের বক্সীগঞ্জ, চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলা, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর ও রামগঞ্জ, ফেনী জেলার ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী, পঞ্চগড় সদর, দেবীগঞ্জ, তেঁতুলিয়া ও বোদা উপজেলা, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী, নীলফামারীর ডিমলা, নওগাঁর রাণীনগর, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি, রাজশাহী জেলার মোহনপুর, চারঘাট ও বাঘা উপজেলা, বগুড়ার নন্দীগ্রাম ও দুপচাঁচিয়া, নাটোরের বাগাতিপাড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, ঝিনাইদহের হরিণাকন্ডু, সাতক্ষীরার তালা, মাগুরা জেলার মাগুরা সদর, শ্রীপুর, মহম্মদপুর ও শালিখা উপজেলা, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া এবং পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলা।

ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদী ভাঙন কবলিত ভূমি-গৃহহীন ও ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ‘আশ্রয়ণ’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন তৎকালীন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। এ প্রকল্পের আওতায় কয়েক লাখ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগীদের মধ্যে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী, হিজড়া, বেদে সম্প্রদায়সহ সমাজের পিছিয়ে পড়া ভাসমান বিভিন্ন জনগোষ্ঠীও রয়েছে।

১৯৯৭ সাল থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত শুধু আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৭০টি পরিবারকে পুর্নবাসন করা হয়েছে।

১৯৯৭ সাল থেকে আশ্রয়ণ এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়/সংস্থার মাধ্যমে ৭ লাখ ১২ হাজার ২৬৩ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। পরিবার প্রতি ৫ জন হিসেবে এতে উপকার ভোগী মানুষের সংখ্যা ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ৩১৫ জন।

ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং লক্ষ্মীপুর, বাগেরহাট, ময়মনসিংহ, পঞ্চগড় এবং মাগুরা জেলা থেকে উপকারভোগী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিরা গণভবনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী উপকারভোগী এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

error: Content is protected !!