এলাকাভেদে লোডশেডিংয়ের যে সময়সূচি করা হয়েছে, ঈশ্বরদীতে তা মানা হচ্ছে না। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকাল থেকেই ঈশ্বরদীতে সময়সূচি না মানেই চলছে লোডশেডিং।
এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঈশ্বরদী বাজারের ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও লোডশেডিংয়ের কবলে বিপাকে পড়েছেন তারা।
ঈশ্বরদী বাজার এলাকায় লোডশেডিংয়ের সময়সূচি করা হয় দুপুর ১টা থেকে ২টা, রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত। অথচ সকাল ৯টার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লোডশেডিং হয়েছে ৩ বার। রাত ৮টার কয়েক মিনিট আগেই বাজারের সব মার্কেট বন্ধ হয়ে যায়। ৮ বাজতেই সময়সূচির ১ ঘন্টা লোডশেডিং।
এদিকে ঈশ্বরদী বাজারসহ আশেপাশের কয়েকটি এলাকায় জোহর ও এশার নামাজের সময় ১ ঘন্টা লোডশেডিং দেওয়ার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুসল্লিরা।
সময়সূচিতে রাত ১২টার পর লোডশেডিংয়ের কথা উল্লেখ না থাকলেও ঈশ্বরদী পৌর শহরে সময়সূচি না মেনে মধ্যে রাতে আবারও লোডশেডিং।
তবে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় শিডিউল মেনে লোডশেডিং দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) মাধ্যমে ঈশ্বরদী শহরসহ আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এর আওতায় কয়েক হাজার সাধারণ গ্রাহকসহ বিভিন্ন শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
গত সোমবার সরকারের পক্ষ থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের ঘোষণা দেওয়া হয় এবং তা মঙ্গলবার থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা। তবে প্রথমদিনই ঈশ্বরদীতে ছিল এর বিপরীত চিত্র।