ঈশ্বরদীতে একটি ক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ সময় এক যুবক ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে। সোমবার রাত পৌনে ১০ টায় উপজেলা সদরের আমবাগান এলাকার টাইগার ক্লাবে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সরকার দলীয় সমর্থকদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে টাইগার ক্লাবে হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এর কিছুক্ষণ পর হামলাকারীরা পৌর মেয়র ইসহাক আলী মালিথার বাড়ির আঙিনা লক্ষ্য করে পাথর ও ঢিল ছুড়ে মারেন। এসময় মেয়রের সমর্থকেরা ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হামলায় আমবাগান এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে আলালকে ধারালো ছুরি দিয়ে তার বুকের ডান পাশে আঘাত করা হয়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় আলালকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
এদিকে এই হামলার ঘটনায় শহরের আমবাগান এলাকার সরকার দলীয় সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কয়েকজনকে দায়ী করা হয়েছে।
শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্টকারীদের কোনও প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। ঈশ্বরদীতে শান্তি-শৃঙ্খলার পরিবেশ ভালো রাখতে যা করার দরকার, তাই করবো বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
-সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাস
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলবার হোসেন জানান, টাইগার ক্লাবে হামলার পর পৌর মেয়রের বাড়ির দিকে ঢিল ছুঁড়ে মারে সন্ত্রাসীরা।
মেয়র ইছাহক মালিথা বলেন, আমবাগান এলাকায় ঈদের আগের দিন ওই সন্ত্রাসী গ্রুপের বিরুদ্ধে দোকানদারদের কাছে চাঁদা দাবীর অভিযোগ ছিলো। এছাড়াও তারা নিয়মিত সিএনজি থেকে চাঁদাবাজি করছিল। এ সব ঘটনার প্রতিবাদ এবং এদের বিরুদ্ধে বিচারের কথা বলায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। তারা টাইগার ক্লাবে হামলা করে জাতির জনক ও তার কন্যার ছবি ভাংচুর করে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, আধিপত্য বিস্তারের জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত থানায় কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
