ঈশ্বরদী উপজেলায় চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম চলছে ধীরগতিতে। এক মাসের বেশি দিন অতিবাহিত হলেও সংগ্রহ হয়নি কাক্সিক্ষত মাত্রায়। ১৭ মে ধান সংগ্রহ শুরু হলেও গত ২৭ জুন পর্যন্ত ধান সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ টন আর চাল সংগ্রহের পরিমাণ ৮ হাজার ৩৪০ টনে, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম। কৃষকদের কাছ থেকে ৩৭৯ টন ধান এবং মিলারদের কাছ থেকে ১৮ হাজার ৬০২ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়।
কিন্তু সরকারিভাবে ধান বিক্রির জন্য বিভিন্ন নিয়মকানুন ও হয়রানির কারণে সরকারিভাবে ধান বিক্রিতে আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। বেশির ভাগ কৃষক ধান মাড়াই শেষে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন। যার ফলে উপজেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তবে খাদ্য বিভাগ বলছে, এখনো সময় রয়েছে, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চেষ্টা করবেন তারা।
উপজেলার মুলাডুলি গ্রামের কৃষক খালেক জোয়াদ্দার বলেন, সরকারিভাবে ধান বিক্রির জন্য বিভিন্ন নিয়মকানুন ও হয়রানির কারণে সরকারিভাবে ধান বিক্রিতে আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
একই গ্রামের কৃষক মুরাদ মালিথা বলেন, ফড়িয়া আর মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে প্রতি বছর প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। অধিক লাভের জায়গা নেই। ফলে সরকারিভাবে ধান দেয়ায় আগ্রহ কম।
উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি জুলমত হায়দার বলেন, উপজেলায় ৩২৫টি মিলের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এখনো সময় আছে। আশা করি এবার আমাদের উপজেলায় চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
উপজেলার চালকল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ফজলু মালিথা বলেন, জায়গা সংকটের কারণে কাক্সিক্ষত অর্জন হয়নি ঈশ্বরদী খাদ্যগুদামে। তবে সময় রয়েছে হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংকটের কারণে বাজারমূল্য যে দিকে যাচ্ছে, তাতে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। তারপরও আমাদের হাতে সময় রয়েছে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। আমরা শেষ সময় পর্যন্ত চেষ্টা করব। গোডাউনের খাদ্য সরানোর কাজ চলছে। দ্রুত জায়গা করা হবে।