ঈশ্বরদী ইপিজেডে মেহেদী হাসান নাইম (২০) নামে এক শ্রমিককে মারধোরের পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সে মারা যায়। নিহত নাইম ঈশ্বরদীর গোকুলনগর চক্ষু হাসপাতাল সংলগ্ন মাকছুদুল হক মুক্তা শেখ এর ছেলে এবং ইপিজেডের আই এইচ এম গার্মেন্টস এণ্ড ট্রেক্সটাইল কোম্পানি লিমিটেডে কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত ছিল।
এবিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে নিহত নাইম এর পিতা মুক্তা শেখ জানান। পুলিশ নিহত নাইম এর বাড়িতে গিয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নাইমের পিতা মুক্তা শেখ বলেন, নাইম মৃত্যুর পূর্বে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে মারধোরের কথা বলে গেছেন।তিনি বলেন, ইপিজেডের ওই অফিসের এডমিন মিজানুর রহমান সাথে নাইমের পদোন্নতি বিষয় নিয়ে বুধবার সকালে কথা কাটাকাটি হয়। বাকবিতন্ডায় একপর্যায়ে এডমিন নাইমকে বুকে ও পিঠে প্রচন্ড আঘাত করেন। এতে নাইম অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ইপিজেডের অভ্যন্তরে বেপজা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ইপিজেড বেপজা হাসপাতাল থেকে নাইমকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। রাত ২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই সে মারা যায়। তিনি বলেন, রাতে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা নাইমের পিঠ থেকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রায় ২ কেজি ৫০০ গ্রাম কালচে জমাট রক্ত বের করেন এবং চিকিৎসকরা তাকে জানান, নাইমের বুকে ও পিঠে প্রচন্ড আঘাত এর জন্য এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত এডমিন মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে জানান, নিহত কম্পিউটার অপারেটর মেহেদী হাসান নাইমকে মারধোরের কোন ঘটনা কোম্পানিতে ঘটেনি। কি কারণে নাইম মারা গেছে তিনি জানেন না। আমি একটি অডিট এর কাজে ব্যস্ত আছি বলেই তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
ঈশ্বরদী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে নিহত নাইমের বাড়িতে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তিনি জানান।