রবিবার , ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদীর রশিদ ওয়েল মিল মালিক গ্রেপ্তার

প্রতিবেদক
আমাদের ঈশ্বরদী রিপোর্ট :
নভেম্বর ১৭, ২০২৪ ১১:৩৭ অপরাহ্ণ

ঈশ্বরদীর রশিদ ওয়েল মিল মালিক ও দেশের অন্যতম শীর্ষ চাউল ব্যবসায়ী কুষ্টিয়ার খাজানগরের রশিদ এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের স্বত্তাধিকারী আব্দুর রশিদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, আব্দুর রশিদ একজন চাল ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, ঋণখেলাপিসহ আদালতে অন্তত ৬৮টি মামলা রয়েছে। এর পাশাপাশি ঈশ্বরদীতে রশিদ অয়েল মিল নামে একটি কারখানা করেছেন তিনি।

ওসি বলেন, আব্দুর রশিদের মিল থেকে ফিড মিলের কাঁচামাল কেনার জন্য চেকের মাধ্যমে ১ কোটি ৬৪ লাখ অগ্রিম টাকা দেন রাজশাহীর পুঠিয়া এলাকার ইনাম ফিড মিলের মালিক আতিকুর রহমান। কিন্তু টাকা নেয়ার দেড় বছর অতিবাহিত হলেও কাঁচামাল দেয়নি এমনকি টাকাও দেননি রশিদ। পরে একপ্রকার বাধ্য হয়েই আতিকুর রহমান ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট রাজশাহী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আব্দুর রশিদ ও তার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসানকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে সমন জারি করলেও হাজিরা না দেয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আর ওই মামলায় রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শিহাবুর রহমান শিহাব আরও বলেন, রশিদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপিসহ আদালতে অন্তত ৬৮টির মত মামলা রয়েছে। এসব কারণে তিনিসহ তার পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যার কুষ্টিয়া শহর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।

জানা গেছে, দেশের অন্যতম বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে রশিদ অ্যাগ্রো ফুড নামে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের কারনে প্রথমে তিনি কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। তারপর থেকেই দেশের রাইস সেক্টরে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল তার। এরপর বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাস্কিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। মূলত তখন থেকেই দেশের চাল ব্যবসায়ের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে যায় তার হাতে। হয়ে ওঠেন চাল সিন্ডিকেটের হোতা। ইচ্ছেমত চালের দাম বাড়িয়ে চালের বাজার অস্থির করে তুলতেন।

এসব কারনে তৎকালীন সরকারের শীর্ষ মহল চাল সিন্ডিকেটের হোতা হিসেবে দায়ী করে আসছিল। তবে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা ঋণ নেয়ায় তিনি খেলাপি হন। দেউলিয়া হয়ে পড়েন ব্যবসায়ে। ঋণখেলাপির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলার ধান ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কয়েকশ কোটি টাকা ঋণী হন। যার কারনে সম্প্রতি তিনি পরিবারসহ আত্মগোপনে চলে যান।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ