পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, যা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদার। এছাড়াও ভোট না দিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মিন্টুর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা বরার লিখিত অভিযোগ দেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদার।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঈশ্বরদী পৌর এলাকার কাচারীপাড়া রেনেসা ক্লাবের পাশে শ্রী শ্রী হরে কৃষ্ণ মন্দিরে শ্রী শ্রী মহাপ্রভুর ভোগ অনুষ্ঠান চলছিল। দুপুরে ২টার দিকে ভোগ চলাকালীন সময়ে উপস্থিত হোন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু। সেখানে তিনি নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালান এবং সবার কাছে ভোট প্রার্থনা করেন। যা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা-২০১৬ এর ২০ ধারা পরিপন্থি। এছাড়াও মিন্টু ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় তাকে মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট প্রদান না করলে দল থেকে বহিষ্কার করার হুমকি দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের, যা আচরণবিধির ১৮ এর ‘ক’ ও ‘ঘ’ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বিষয়টি নিয়ে অভিযোগকারী চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদার বলেন, ‘আমার কাছে ভোট চাওয়ার প্রমাণ আছে। আমি প্রমাণ সহকারে নির্বাচন অফিসে অভিযোগ করেছি। এছাড়াও আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর পক্ষে যেসব চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোটে প্রচারণা করছেন তারা সরকারের ভাতাভোগী সাধারণ ভোটারদের হুমকি দিচ্ছেন। তারা ভোটারদের বলছেন- মিন্টু মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট না দিলে তাদের ভাতা কার্ড বাতিল করে দেয়া হবে।’
এব্যাপারে অভিযুক্ত মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, ‘মন্দিরের পাশেই আমার একটি ক্লাব আছে সেখানেই ছিলাম। ক্লাব সংলগ্ন হওয়ায় সেখানে গিয়েছিলাম কিন্তু কোনো ভোট চাইনি। আমার বিরুদ্ধে সম্পুর্ন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করা হচ্ছে।’
এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের আলোকে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’