ঈশ্বরদীতে আগুনে পুড়ে শিশু রিয়া খাতুন (৯) দ্বগ্ধ হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১২ টায় নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রিয়া উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর পাঠশালা মোড়ের পিন্টু বিশ্বাসের মেয়ে এবং দিয়াড় সাহাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সাবরিনা রহমান বলেন, আগুনে শিশু রিয়ার মুখমন্ডল সহ শরীরের বেশীরভাগই পুড়ে গেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেকে নিয়ে আসলে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রাত ১১টার সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, পিন্টু বিশ্বাস রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকুরী করেন। তার স্ত্রী বাড়ির মেইন গেটে তালা দিয়ে বাহিরে যায়। সে সময় রিয়া এবং তার ৫ বছর বয়সী ভাই দুজন বাড়িতে গ্যাস লাইট জ্বালিয়ে উঠানে খেলছিল। খেলার এক পর্যায়ে রিয়ার জামাতে আগুন লেগে যায়। আগুন লাগার ঘটনার সময় শুধু রিয়া এবং তার ছোট ভাই বাড়িতে ছিলেন।
রিয়ার বাবা পিন্টু বিশ্বাস জানান, বাড়ির মেইন গেট তালা বদ্ধ ছিল। যে কারণে প্রতিবেশীরা আগুন ধরার সময় বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেনি। তিনি জানান, আগুনে শিশু রিয়ার শরীর পুরোটাই পুড়ে গেছে।
পিন্টু বিশ্বাসের ভাই জানান, রিয়া ও তার ছোট ভাই বাড়ির মধ্যে উঠানের উপর মাটি দিয়ে খেলনা তৈরি করছিল। ধারণা করা হচ্ছে সেগুলো পোড়ানোর জন্যই তারা আগুন জ্বালিয়েছিল। সেসময় অসাবধানতাবশতঃ রিয়ার গায়ে পরিহিত জামাতে আগুন লেগে যায়। তাদের দুই ভাই বোনের আত্মচিৎকারে আমরা এগিয়ে এসে বাড়ির মূল দরজা বন্ধ পায়। পরে দরজা ভেঙে তাদের উদ্ধার করি। কিন্তু ততক্ষণে রিয়ার শরীরের বেশিরভাগ অংশই পড়ে যায়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জানা ছিল না। আগুন লাগার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।