দেশের কওমি মাদরাসা ভিত্তিক শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের ৪৭তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে এ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ বছর এতে অংশ নিয়েছে মাদরাসার বালক ও বালিকা শাখার ছয় স্তরের শিক্ষার্থীরা। এই পরীক্ষা চলবে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষা চলবে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
জামিয়া সিদ্দিকিয়া আমবাগান মাদ্রাসার নাজেমে তালিমাত (শিক্ষা সচিব) মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এবছর তাদের পরীক্ষা কেন্দ্র (জামিয়া সিদ্দিকীয়া আমবাগান মাদ্রাসা) হতে ঈশ্বরদী ও তার আশপাশের ৯ টি মাদ্রাসার মোট ২২১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে।
বেফাক বোর্ডের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বেফাক জানায়,এ বছরের কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় সর্বমোট ৪৬টি জোনের আওতায় ২,০৫৮টি কেন্দ্রে ৩,২৫,৩২৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। তন্মধ্যে ছাত্র ১,৩৪,৭২৩ জন ও ছাত্রী ১,৯০,৬০১ জন। এছাড়া কেন্দ্রীয় পরীক্ষা সুষ্ঠু সম্পাদনের লক্ষ্যে সারা দেশে ৮,০৫৫ জন নেগরান (হল পরিদর্শক) ও ৫,০৫১ জন মুমতাহিন (পরীক্ষক) নিয়োজিত রয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বিগত বছরের ন্যায় এ বছরও প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে পরীক্ষার কিছুসময় পূর্বে কেন্দ্রীয় পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ কমিটির তত্ত্বাবধানে সারাদেশের সকল কেন্দ্রে অনলাইনে প্রশ্নপত্র প্রেরণের পরপরই প্রশ্ন প্রিন্ট করে পরীক্ষার্থীদের হাতে দেয়া হচ্ছে।
জামিয়া সিদ্দিকিয়া আমবাগানের মাদ্রাসার শিক্ষা বিভাগ থেকে তথ্য নিয়ে জানা যায়, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে পরীক্ষা শুরুর নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষা হলে সকল শিক্ষার্থীদের প্রবেশ নিশ্চিত করার পর বেফাক বোর্ড হতে অনলাইনে প্রশ্নপত্র প্রেরণ করা হয়। এরপর”প্রধান পরীক্ষা হল পরিদর্শক” এর উপস্থিতিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা প্রিন্ট করে পরীক্ষার হলে পাঠানো হয়।প্রযুক্তির এরূপ ব্যবহার সর্বমহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছে,
এবং এই ব্যবহার দেশের শিক্ষা ও প্রযুক্তির উন্নয়নে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে দেশ আরো এগিয়ে যাচ্ছে বলে শিক্ষাবিদগণ মনে করেন।