সুন্দর পৃথিবীতে আরো কিছুদিন বাঁচতে চান জাতির শ্রেষ্ট সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রশিদ। হৃদ রোগ, কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু পদযাত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ। তিনি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষিকুন্ডা ইউনিয়নের নুরুল্লাহপুর গ্রামের মৃত ইয়াদ আলী মৃধার ছেলে।
আল্লাহর পরেই শেষ ভরসা বিশ্বমানবতার মা শেখ হাসিনা
চাকরী জীবনে অবসরজনিত প্রাপ্ত সকল টাকাসহ নিজের সহায় সম্বল বিক্রয় করে নিজের চিকিৎসা করিয়ে আজ তিনি নিঃস্ব। পরিবার পরিজন নিয়ে করছেন মানবেতর জীবন যাপন। আর তাই এখন মহান আল্লাহর পরেই শেষ ভরসা বিশ^মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই জন্য নিচের চিকিৎসার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশ-বিদেশী দানশীল ব্যক্তিদের নিকট থেকে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন এই অসহায় বীরমুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট সাহায্য চেয়ে আবেদন করা প্রায় তিন মাস পার হলেও নেই আশানুপাতিক সাঁড়া। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বমানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য পাওয়া থেকে নিরাশ হচ্ছেন না এই মৃত্যু শর্যাশায়ী বীরমুক্তিযোদ্ধা। বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রশিদ এর ভারতীয় এফএফ নং-৯৮৫৩, বেসামরিক গেজেট নং-৮৭৮, লাল মুক্তিবার্তা নং-৩১১০২০৩৪৯, বামুস নং-৯৯০১, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরীত সনদ নং-১০২৩৪, সমন্বিত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা নং-০১৭৬০০০২৩০৩ এবং জাতীয় পরিচয় পত্র নং-৪৬৩০১০৮৪৯৮।
বাঁচতে চান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ১৯৭১ সালে টগবকে যুবক আব্দুর রশিদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মাতৃভূমির টানে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান। ভারতে প্রশিক্ষণ চলাকালে রাজাকারদের সহযোগিতায় তাঁদের ঘরবাড়ি আগুনে ভস্মিভূত করে দেয় পাকবাহিনী। দেশে ফিরে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হন। অবসর গ্রহনের পর ২০১৩ সালে হার্টের সমস্যায় ৪/৫ লাখ টাকা খরচ করে মহাখালি মেট্রো পলিটন হাসপাতালে ওপেন হার্ট সাজারী করানো হয়। বিষয়টি সেই সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে জানিয়েও কোন সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এরপর ২০১৯ সালে তিনি কিডনী রোগে আক্রান্ত হন। কিডনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মঈন উদ্দিন আহম্মেদের নিকট চিকিৎসা গ্রহন করেন। সেই সময় তাকে বিদেশ গিয়ে চিকিৎসা গ্রহনের পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু অর্থাভাব আর মহামারি করোনা ভাইরাসজনিত কারণে বিদেশে আর যেতে পারেননি। চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লে উত্তরা লুবনা হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে কয়েকদিন পর পর কিডনি ডায়ালাইসিস করার প্রয়োজন পড়ছে। এতে মাসিক খরচ হচ্ছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। এখন আর সেই টাকা যোগান দেওয়া পরিবারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। তাই বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ দেশবাসী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেছেন।
- সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-জনতা ব্যাংক লিঃ, গ্রিণরোড (পশ্চিম) শাখা, তেজগাঁও-ঢাকা। হিসাব নং-০০০০০৩৪০৬২৫১৫। বিকাশ নং:০১৭১১-৯৩৮৩৭৮।
বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রশিদ জানান, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। আমি এই সুন্দর পৃথীবিতে আরো কিছুদিন বাঁচতে চাই। মহান আল্লাহর পরেই আমার ভরসা এখন মুক্তিযোদ্ধা বান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দানশীল দেশবাসীর নিকট।
