এক দিনে তাপমাত্রা কমল ৪ ডিগ্রি
পাবনার ঈশ্বরদীতে জেঁকে বসেছে শীত। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি উত্তরের হিমেল হাওয়া বাড়িয়েছে শীতের তীব্রতা। হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। আজ শুক্রবার উপজেলায় এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিনের ব্যবধানে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কম। আজ দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। শীতের তীব্রতার কারণে অনেকে বাড়ির বাইরে বের হতে পারছে না।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, শুক্রবার থেকে ঈশ্বরদীতে এ মৌসুমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আজ এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বর্তমানে ঈশ্বরদীসহ উত্তরের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। এই অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে। বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা।
তীব্র শীতে ইয়ার্ডে রেললাইনে ঠাঁই নিয়েছেন এক বৃদ্ধ। ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে।
এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে হতদরিদ্র মানুষ কষ্টের মধ্যে পড়েছে। বেড়ে চলছে সর্দি, কাশি ও ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ।
ঈশ্বরদী শহরের ফতেমোহাম্মদপুর এলাকার দিনমজুর আলাউদ্দীন আলী বলেন, ‘ভীষণ শীত পড়ছি আইজ। সে জন্য তীব্র শীতের মধ্যি আইজ আর ঘর থেইকা বের হই নাই। ঠান্ডায় হাত-পা জমি (জমে) যাওয়ার উপক্রম হইছে। সরকারিভাবে কোনো শীতবস্ত্র পাই নাই আমি।’
শুক্রবার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ঘুরে দেখা গেছে, স্টেশনে যাত্রীসংখ্যা কম। তীব্র শীতের কবলে পড়ে স্টেশনের আশপাশে আশ্রয় নেওয়া হতদরিদ্র ছিন্নমূল মানুষ ভীষণ কষ্টে আছে। রেলস্টেশন প্ল্যাটফর্মে তৃণমূল মানুষদের থাকার বৈধতা না থাকায় অনেককে ইয়ার্ড ও রেললাইনের মধ্যে বসে তীব্র শীতে কাতর হতে দেখা গেছে।
কথা হয় রাজবাড়ী জেলার জসীমউদ্দীন নামের এক দরিদ্র ব্যক্তির সঙ্গে। কেমন আছেন? জিজ্ঞেস করায় তিনি কাতর কণ্ঠে বলেন, ‘অনেক শীত! ঠান্ডায় আমার অবস্থা ভালো না। ঠান্ডার চোটে কথা কইতে পারতেছি না। অসুস্থ হইয়া পড়ছি, পরে কথা কইমুনে।’