ঈশ্বরদীতে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ইঞ্জিনচালিত করিমনের সংঘর্ষে স্কুলছাত্র মিতুল হোসেনের (১৬) মৃত্যুর পর এবার চলে গেলেন তার বন্ধু সিয়াম সরদার (১৬)। সোমবার (৬ নভেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিয়ামের মৃত্যু হয়।
সিয়াম উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শিহাব সরদারের ছেলে। সে ঈশ্বরদী সরকারি ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ইনস্টিটিউটের সুপারিনটেনডেন্ট রফিকুল ইসলাম সিয়ামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিন বন্ধু মোটরসাইকেলে করে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল। পথে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের বহরপুরে মোটরসাইকেল ও করিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলের তিন আরোহীর মধ্যে ঈশ্বরদী সরকারি ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির ছাত্র দাশুড়িয়া আতাইল শিমুল গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে মিতুল হোসেন (১৬) ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
জানা যায়, আহত সিয়াম সরদার ও দাশুড়িয়া খয়েরবাড়ি গ্রামের বাচ্চু মন্ডলের ছেলে বিশাল হোসেন (১৫) কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে মারা যায় সিয়াম সরদার। চিকিৎসাধীন বিশাল হোসেনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বকুল সরদার বলেন, সিয়াম সরদারের মৃত্যুর খবর শুনেছি। তার মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রয়েছে। আমার ইউনিয়নের দুই ছাত্রের মৃত্যু এবং গুরুতর আহত একজন আইসিইউতে থাকার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।