পাবনার ঈশ্বরদীতে পৃথক ঘটনায় একদিনে দুই তরুণ-তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মারা যাওয়া তরুণের নাম শাহিদ মাল এবং অপর তরুণীর নাম সুমনা খাতুন। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়ন সুলতানপুর মধ্যপাড়া গ্রামে ঘরের আঁড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় শাহিদ মাল (১৪) নামে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে খবর সোমবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি থানায় নিয়ে যায়।
সে ওই গ্রামের আমিরুল মালের ছেলে, দরগা বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এদিকে কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তার নাম সুমনা খাতুন (১৬)। রোববার রাতে উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের দিয়ারবাঘইল স্কুলপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
সে ওই গ্রামের ইয়াসিন আলী মেয়ে, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করেও সুমনার সাড়া না পেয়ে মা ও প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো লাশটি উদ্ধার করে।
শিক্ষার্থী মৃত্যুর বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, দুই জনের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এবং কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে জানতে আরও তদন্ত প্রয়োজন। তদন্ত শেষে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানা সম্ভব হবে।