বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার, বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু রাজনৈতিক দলগুলোকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, যদি গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। গণতান্ত্রিক উপায়ে আগামী সংসদ নির্বাচন হবে।
নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত করবে। যারা বিজয়ী হবে তারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টায় পাবনার ঈশ্বরদী থেকে প্রকাশিত সংবাদ সাতদিনের পত্রিকার প্রথম প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতা বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে উদ্দেশ্য করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদ কার্যক্রম করবেন না। দেশের জনগণ এখন অনেক স্মার্ট। স্মার্ট জনগণই সব ষড়যন্ত্রকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করবে। আগামী সংসদ নির্বাচন সুন্দর নিরপেক্ষ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদমাধ্যম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হলে বিশ্বে দেশের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল হয়। জাতির পিতা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন। তিনি ক্ষমতায় আসার পর অনেক ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অনুমোদন দিয়েছেন এবং তারা স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচার করছে। বর্তমান সরকার জনবান্ধব ও মিডিয়াবান্ধব।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য নিয়ে ডেপুটি স্পিকার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কাজকর্মে যারা লিপ্ত তারা কী মন্তব্য করলো এতে কিছু যায় আসে না। অগ্নিকাণ্ড, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ কার্যক্রম যারা পরিচালনা করে তারা বাহিরের শক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রাখে বাংলাদেশে যেন সুন্দরভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন না হতে পারে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে টুকু আরও বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক ধারায় অভ্যস্ত নয়, তাদের দল গণতান্ত্রিক ধারার জনগণের জন্য দল হয়নি। তারা জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যার পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাই আসার পর বঙ্গবন্ধুসহ সবাইকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। হত্যাকারীদের দায়মুক্ত দিয়ে ইনডেমনিটি দিয়ে দল করেছে। সে দল গণতন্ত্র বিরোধী দল। সেই দলের মহাসচিব, যার নেতারা বিভিন্ন দ্বন্দ্বে দ্বন্দ্বিত ও পলাতক। তাদের কথায় দেশ চলবে না। দেশ চলবে সঠিক নিয়মে, আর নির্বাচন হবে সঠিক সময়ে।
এর আগে শনিবার দুপুর ১২টায় ডেপুটি স্পিকার বীর-মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু ঈশ্বরদীতে বাংলাদেশ সুগারক্রপ ইনিস্টিটিউটে পৌঁছালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। পরে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান জানানো হয়। পরে আলোচনা সভায় যোগদান করেন।