ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এর নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঈশ্বরদীর পাকশী আমতলাস্থ রেলওয়ে ফুটবল মাঠে নামাজে জানাজা শেষে পাকশী রেলওয়ে কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, নামাজে জানাজায় কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। পুরো রেলওয়ে মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। দলীয় নেতা-কর্মীরা ছাড়াও এসময় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন সমবেত হয়।
পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব এর সঞ্চালনায় নামাজে জানাজা পূর্ব বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম সরদার, জামায়াতে ইসলামীর পাবনা জেলা আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার, রেল শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি আহসান হাবীব ও আবুল কালাম আজাদের ভাই মো. আলম।
এসময় দলীয় ও অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে আবুল কালাম আজাদের কফিনে ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আগত নেতা-কর্মীরা।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণ, বোমা নিক্ষেপ ও হামলার মামলায় দীর্ঘ ২৫ বছর পর ২০১৯ সালের ৩ জুলাই পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ রুস্তম আলী ওই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২৫ জন যাবজ্জীবন, ১৩ জন দশ বছর কারাদণ্ড ও ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
সেই মামলার রায়ে আসামি হিসেবে আবুল কালাম আজাদ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজা ভোগ করছিলেন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে। তার দুই চোখ আগে থেকেই অন্ধ ছিল। কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার বিকেলে তিনি মারা যান।