মঙ্গলবার , ২৯ আগস্ট ২০২৩ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদীতে দুই পক্ষের বিরোধের জেরে তৃতীয় পক্ষের মারপিটে নারীর মৃত্যু

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
আগস্ট ২৯, ২০২৩ ১:৫৫ অপরাহ্ণ

পাবনার ঈশ্বরদীতে পাওনা টাকা নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধের জেরে তৃতীয় পক্ষের মারপিটে ময়না বেগম (৫০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলা সদরের মশুরিয়াপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

আজ মঙ্গলবার ( ২৯ আগস্ট ) দুপুরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। নিহত ময়না বেগম মশুরিয়াপাড়ার রহম আলীর স্ত্রী।

নিহতের স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি প্রতিবেশী শিলা খাতুনের কাছ থেকে বাকিতে কিছু কাপড় নিয়েছিলেন ময়না বেগম। বাকির টাকা পরিশোধ করতে তাঁর কিছুটা দেরি হচ্ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রাত আটটার দিকে শিলা লোকজন নিয়ে ময়নার বাড়িতে যান। এ সময় পাওনা টাকা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। শিলা পরে সেখান থেকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তি ময়নাদের বাড়িতে গিয়ে ঝগড়ার বিষয়ে জানতে চান। এ সময় ময়না বেগম ও তাঁর মেয়ে নিশি খাতুন ঝগড়ার বিষয়ে বলতে গেলে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে তাঁদের কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। খবর পেয়ে জাহাঙ্গীরের লোকজন সেখানে ছুটে যান। এ সময় মারামারির একপর্যায়ে ময়নার মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত ময়নার মেয়ে নিশি খাতুনের দাবি, ঝগড়ার সময় প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর লোকজন নিয়ে তাঁর মাকে লোহার রড দিয়ে ব্যাপক মারধর করেন। এতেই তাঁর মা মারা গেছেন। তিনি মা হত্যার বিচার চান।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর হোসেন এলাকাছাড়া। এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঈশ্বরদী সার্কেল) বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার জাহাঙ্গীর হোসেনসহ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার বলেন, আজ বিকেল পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। মামলা হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ