বৃহস্পতিবার , ২০ জুলাই ২০২৩ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে ঈশ্বরদীর সুস্বাদু কাঁঠাল

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
জুলাই ২০, ২০২৩ ১১:০৫ অপরাহ্ণ

স্বাদে-গন্ধে পুষ্টিমানে ভরপুর অথিতি আপ্যায়নে ঐতিহ্যের ছোঁয়া, কৃষকের কাঁচা সোনা এবং আকৃতিতে উপমহাদেশের বৃহত্তর ফল দেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল।

এবার কোন প্রকৃতিক দুর্যোগ ও ঝড় ঝাপটার আচঁ না লাগায় দেশে কাঁঠালের এলাকা হিসেবে পরিচিত পাবনার ঈশ্বরদীর জয়নগরে প্রতিটি বাগান, বাড়ি ও রাস্তার পাশে গাছে-গাছে ঝুলছে গ্রীষ্মের জনপ্রিয় ফল কাঁঠাল।

উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় হাট পাবনার ঈশ্বরদীর জয়নগর বোডঘর মোড় হাট থেকে প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন জেলায় এ মৌসুমে কাঁঠাল সরবরাহ করা হয়। উপজেলার সলিমপুর, সাহাপুর, লক্ষীকুন্ডা, পাকশী ও দাশুড়িয়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার কাঁঠাল বাগান এখন ফলে ভরপুর। এবছরও মৌসুমের শুরুতে কাঁঠাল বিক্রির জন্য উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জয়নগর বোর্ড অফিস মোড়ে প্রতিদিন বসছে এ অঞ্চলের কাঁঠালের সবচেয়ে বড় হাট। তবে কাঁঠালের ভালো দাম না পাওয়ায় হতাশ কৃষকরা।

সরজমিনে দেখা যায়, বেলা ১২ টার পর থেকেই রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ভেড়ামারাসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে রিকশা-ভ্যান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এবং স্টায়ারিং গাড়িতে করে প্রচুর কাঁঠাল আনা হয় জয়নগর বোর্ড অফিস মোড়ের এ হাটে। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ব্যবসায়ীরা পাইকারি দামে কাঁঠাল কিনতে আসেন এ হাটে। প্রতি গাড়িতে ১২০০-১৫০০ পিস কাঁঠাল সরবরাহ করা যায়। চলতি বছরে এ হাটে প্রতি পিস কাঁঠাল ৫০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

স্থানীয় কাঁঠাল বাগানের মালিক রবিউল আলম বলেন, দুই থেকে তিন মাস কাঁঠালের ভরা মৌসুম। কাঁঠাল চাষ করে আয়কৃত অর্থ দিয়ে সারা বছর পরিবারের খরচ চালায়। এবছর কাঁঠালের মোচা আসার সময় বৃষ্টিপাত কম ছিলো। এজন্য অনেক মোচা নষ্ট হয়েছে। আবার এখন কাঁঠাল পাঁকার উপযুক্ত সময়ে বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় গাছেই অধিকাংশ কাঁঠাল নষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া গত বছরের তুলনায় এবার কাঁঠালের দাম কিছুটা কম।

জয়নগর বোর্ড অফিস মোড়ের বাপ্পি ফল ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী আবুর আলী জানান, আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র তিন মাস এ অঞ্চলে কাঁঠাল পাওয়া যায়। তার আড়ৎ থেকে প্রতিদিন ৪-৫ টি ট্রাকযোগে বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, আমতলী, গলাচিপা, বাকেরগঞ্জ, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলায় কাঁঠাল সরবরাহ করা হয়।

স্থানীয় ব্যবসায়ী রাজন জানান, প্রতিদিন বাগান থেকে ১০০-১৫০ পিস কাঁঠাল নিয়ে এ হাটে আসি। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ হাটে কাঁঠাল আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কিছুটা কম।

বিশ্বাস কাঠালের আড়ৎ এর স্বত্বাধিকারী মিনারুল বিশ্বাস বলেন, স্থানীয় চাষি ছাড়াও বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা কাঁঠাল বিক্রি করতে এ হাটে আসেন। তার আড়ৎ থেকে নোয়াখালী, সিলেট, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলায় কাঁঠাল পাঠানো হয়।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার জানান, চলতি বছরে উপজেলায় ১৫৫ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের চাষ হয়েছে। কাঁঠাল চাষে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয় ।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ