ছাত্রলীগের কর্মী তাফসির আহম্মেদ মনাকে গুলি করে হত্যাকান্ডের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছে ঈশ্বরদীর পাকশী এলাকা। হত্যাকান্ডের জের ধরে স্থানীয় যুবলীগ নেতার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। নিহতের স্বজনরা মনা হত্যাকান্ডে সন্দেহভাজন (চমন-মানিক গ্রুপের) মানিক নামে এক যুবলীগ নেতার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। রবিবার (১৮ জুন) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার রূপপুরের বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান বসির।
খবর পেয়ে রূপপুর গ্রীনসিটি এলাকার মর্ডাণ ফায়ার সার্ভিস ও ডিফেন্স স্টেশনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। মনা হত্যার পর হতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছে পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর এলাকা। বড় ধরণের সহিংস ঘটনার আশংকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) হাসান বসির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের ভাই টুনটুনি ওরফে হাতকাটা টুনটুনির নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন মানিকের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করেছে। মনা হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিক্ষুব্ধদের ধারনা চমন-মানিক নের্তৃত্বে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। সে ধারনা থেকেই তারা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করেছে। পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, মনা হত্যাকান্ডের ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। রবিবার সন্ধ্যার পর নিহত মনার দাফন সম্পন্নের পর স্বজনরা বাড়িতে ফিরে যায়। কিছুক্ষণ পরই সংঘবদ্ধ হয়ে মানিকের বাড়িতে আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগ করে তারা। হত্যাকান্ডের ঘটনায় পাকশী-রূপপুর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের এমপি মোড়ে দূর্বৃত্তদের ছোঁড়া গুলিতে তাফসির আহম্মেদ মনা নামে ছাত্রলীগ কর্মি নিহত হয়।