ফের বেড়েছে ঈশ্বরদীর তাপমাত্রা। তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ঈশ্বরদী জনপদ। উপজেলায় তাপমাত্রা এখন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। গত কয়েকদিন ধরে বইছে তাপপ্রবাহ। এরইমধ্যে বাতাসের আদ্রতাও বেড়েছে। প্রখর খাঁ খাঁ রোদ রাস্তাঘাট-হাটবাজারে লোক সমাগম কমে গেছে। চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যেই পুড়ে গেছে জয়নগর গ্রিডের ১টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার। ঘন ঘন লোডশেডিং জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে।
আজ রবিবার ( ০৪ জুন ) ঈশ্বরদীতে বইছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন ২৮.৩ ডিগ্রি।
এদিকে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত শীতপ্রধান রাশিয়ান এলাকার বিদেশি নাগরিকেরা। বিদেশিদের কর্মস্থল ও আবাসিক এলাকার বাইরে ঘোরাফেরা করতে খুব কম দেখা যাচ্ছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, ৩১ মে থেকে ঈশ্বরদীর তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৫ ডিগ্রি এবং ১লা জুন ৩৯.২ ডিগ্রি এবং ২রা জুন রেকর্ড হয়েছে ৩৯.৫ ডিগ্রি। শনিবার (৩ জুন) আরও বেড়ে হয়েছে ৩৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতাও বেড়েছে। এ সময় সর্বোচ্চ আদ্রতা ১৫ থেকে ২২ ভাগ থাকার কথা। শনিবার ছিল ৪৩ ভাগ। যে কারণে ৩৯.৬ ডিগ্রিতে তীব্র তাপ অনুভূত হচ্ছে। এর আগে এপ্রিলে ঈশ্বরদীর ওপর দিয়ে বয়ে গেছে তীব্র ও অতি তাপপ্রবাহ।
জয়নগর গ্রিডের একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার পুড়ে যাওয়ায় পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। দিনে এবং রাতে ৩ ঘণ্টা পর পর এক ঘণ্টা করে দেওয়া হচ্ছে লোডশেডিং। এছাড়াও রয়েছে স্ক্যাডা সিস্টেমের লোডশেডিং। গত ৭ মে একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারটি পুড়ে যাওয়ায় বর্তমানে ১টি ট্রান্সফরমার দিয়ে চরম ঝুঁকির মধ্যে রেশনিং করে লোডশেডিং দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ঈশ্বরদী অঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদা ৮০ মেগাওয়াট। একটি ট্রান্সফরমার দিয়ে প্রতিদিন মাত্র ৪০-৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে।