শনিবার , ২৭ মে ২০২৩ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদীতে রেলওয়ের গাছ কেটে গোপনে বিক্রি, জানেন না কর্মকর্তারা

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
মে ২৭, ২০২৩ ১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ট্রেনিং সেন্টার পাকশীর ইনচার্জ (এএসআই) মো. আবু ইউনুস গোপনে কাটিয়েছেন রেলওয়ের তিনটি মাঝারি আকারের রেন্টি কড়ই গাছ। সেই গাছগুলো আবার ট্রেনিং সেন্টারের স্টাফ ও তার আত্মীয়ের নিকট বিক্রি করেছেন। বিষয়টি প্রায় দেড় মাস গড়িয়ে গেলেও জানেন না রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ (ডিইএন-২) বীরবল মন্ডল, আইডাব্লিউও (পাকশী) মিনহাজ আকন্দসহ রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

মঙ্গল ও বুধবার সরেজমিন পাকশী রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ট্রেনিং সেন্টার ঘুরে ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দুই বছর পূর্বে ট্রেনিং সেন্টারের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. আহসান হাবিব বদলি হন।

ট্রেনিং সেন্টারের হাবিলদার আবু ইউনুসকে প্রমোশন দিয়ে এএসআই করে গত বছরে ট্রেনিং সেন্টারে ইনচার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর থেকেই তিনি নানা রকম অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। একই সঙ্গে পাকশী সবুজ সৌন্দর্যের প্রতীক রেন্টি কড়ই গাছ কাটিয়ে বিক্রয় করছেন।

সূত্রগুলো মতে, ইনচার্জ আবু ইউনুস ট্রেনিং সেন্টারের স্টাফ ব্যান্ডবাদকদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করা, ট্রেনিং সেন্টারের ভেতরে থাকা জমি স্টাফদের নিকট সবজি চাষের জন্য খাজনা দেওয়া, অর্থ ছাড়া স্টাফদের ছুটি না দেওয়া, জনপ্রতি মাসিক দুই হাজার টাকা চুক্তিতে ঈশ্বরদীতে ট্রেন স্কট ডিউটি দেওয়া, স্টাফদের মাসিক টিএ ডিএ’র দুই লাখ টাকা থেকে ৭০ শতাংশ কেটে নেওয়া, ট্রেনিং সেন্টারের ভেতরের রেন্টি কড়ই গাছ বিক্রয় করার বিষয়ে স্টাফদের মধ্যে অসন্তুষ্টির সৃষ্টি হয়েছে।

পাকশী বাঁচাও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের অন্যতম নেতা সাবেক মেম্বার জাহাঙ্গীর হোসেন, রেজাউল ও বাবু জানান, প্রায়ই রেলওয়ের কর্মকর্তারা কারণে ও অকারণে পাকশীর সবুজ সৌন্দর্যের প্রতিক পাকশীর গৌরবময় ইতিহাসের স্বাক্ষী বিশালাকৃতি কড়ইগাছ, মেহগুনি, সেগুন, কৃষ্ণচূড়াসহ বিভিন্ন ধরণের বনজ ও ফলজ গাছগুলো কেটে ফেলছেন। এটা পাকশীবাসির নিকট চরম উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আইডাব্লিউও মিনহাজ আকন্দ বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর ট্রেনিং সেন্টারের ভেতরের গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের প্রকৌশলী-২ (ডিইএন-২) বীরবল মণ্ডল বলেন, রেলওয়ের গাছ কাটার দায়িত্ব আমার। ইনচার্জ গাছ কাটার কে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চিফ কমান্ডেন্ট (রাজশাহী) মো. আশাবুল ইসলাম বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর ট্রেনিং সেন্টার পাকশীর ইনচার্জের অনিয়ম, দুর্নীতি, স্টাফদের নিকট জমি খাজনা দেওয়া ও রেলওয়ের গাছ কেটে বিক্রয়ের খবর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে অবশ্যয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ট্রেনিং সেন্টার পাকশীর ইনচার্জ (এএসআই) মো. আবু ইউনুস বলেন, তিনি কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। স্টাফদের মাসিক টিএ, ডিএ দুই লাখ টাকা থেকে ৭০ শতাংশ না সরকারি নিয়মানুসারে ১২ শতাংশ কাটা হয়। ট্রেন স্কট ডিউটিতে যারা যেতে চান তাদের পাঠানো হয়। গাছ কাটিয়ে বিক্রির বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ