শুক্রবার , ২৬ মে ২০২৩ | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

গাজীপুর সিটি নির্বাচন
গৃহিণী থেকে নগরমাতা, কে এই জায়েদা খাতুন?

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
মে ২৬, ২০২৩ ১২:০৬ অপরাহ্ণ

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই। সবার মনে একটাই জিজ্ঞাসা- কে এই জায়েদা খাতুন? অনেকেই তার সম্পর্কে বিস্তারিতও জানতে চান।

জায়েদা খাতুন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা। একইসঙ্গে তিনি গাজীপুর সিটির নির্বাচিত প্রথম নারী মেয়র ও দেশের দ্বিতীয় নারী মেয়র।

জানা যায়, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে গাজীপুর সিটির তৃতীয় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী জায়েদা।

জীবনের প্রথম নির্বাচনেই বাজিমাত করেছেন এ প্রার্থী। গৃহিণী থেকে একটি নগরীর দায়িত্ব নিতে যাওয়া জায়েদা হারিয়েছেন ক্ষমতাসীন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকেও। নির্বাচন তো দূরের কথা কোন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেননি তিনি। এমনকি রাজনীতি বা সামাজিক কোন ক্ষেত্রে তার নাম শোনা যায়নি।

জায়েদা খাতুনের ছেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ছিলেন এ নগরীর দ্বিতীয় মেয়র। ২০১৮ সালে তিনি বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন। তবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ওঠায় তিনি মেয়াদ শেষ করতে পারেননি।

স্থানীয়রা বলছেন, এলাকায় জনদরদি হিসেবে পরিচিত জায়েদা। শিক্ষার্থীসহ গরিব-দুঃখী মানুষকে বরাবরই আর্থিক সহায়তা করেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানেও সহায়তা করেন তিনি।

হলফনামা সূত্রে জানা যায়, জায়েদা খাতুন গৃহিণী ও স্বশিক্ষিত। তার জন্ম গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কানাইয়া এলাকায় ১৯৬২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি। জাহাঙ্গীর আলমসহ তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন।

তার স্বামী মো. মিজানুর রহমান পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলার তথ্য নেই।

মহানগরের উন্নয়ন ও নগরবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ৯ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন জায়েদা খাতুন।নির্বাচিত হলে পাঁচ বছরের জন্য হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফের প্রতিশ্রুতি দেন। পাশাপাশি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের অসমাপ্ত কাজ শেষ করারও অঙ্গীকার করেন। এছাড়াও সেখানে নানা উন্নয়ন কার্যক্রমের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের জন্যই পরিচিতি অর্জন এবং নির্বাচন-রাজনীতিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছেন জায়েদা খাতুন। এমনকি জাহাঙ্গীরের জনপ্রিয়তাকেই ভিত্তি করে চমক দেখিয়েছেন মা জায়েদা খাতুন। এছাড়া তার নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়কারীও ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম।

এদিকে নির্বাচনের দিন কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। সেসময়ও তিনি বলেন, জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী, হানড্রেড পারসেন্ট।

প্রসঙ্গত, দেশের প্রথম নারী সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন তিনি। এরপর দেশের দ্বিতীয় নারী মেয়র হলেন জায়েদা খাতুন। আর গাজীপুরবাসি পেল তাদের প্রথম নগরমাতা।

প্রথম নারী মেয়র পেয়ে গাজীপুরবাসীর উল্লাস
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটির নির্বাচন। আর প্রথম নারী মেয়র পেয়ে উল্লাসে মেতে ওঠে নগরবাসী।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টায় ফল ঘোষণার পর রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের বাইরে ও বিভিন্ন এলাকায় বিজয় মিছিল বের করছেন জায়েদার কর্মী সমর্থকদের। এসময় তাদের ঘড়ি ঘড়ি স্লোগানে উল্লাসে মেতে ওঠতে দেখা যায়।

মায়ের বিজয়ে যা বলছেন জাহাঙ্গীর
নতুন মেয়র ঘোষণা হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদার ছেলে ও গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গাজীপুরের নির্বাচনে নৌকার জয় হয়েছে, ব্যক্তির পরাজয় হয়েছে।

জাহাঙ্গীর বলেন, ‘মা বলেছে, সবাইকে নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবেন। প্রধানমন্ত্রী আমাদের গার্ডিয়ান। দেশের উন্নয়নে তাকে সহযোগিতা করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘এই জয়ের জন্য আল্লাহ্‌র পর আমি সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি মায়ের কর্মী হিসেবে তার কাজে সহযোগিতা করব, আমি আমার মেয়র থাকাকালীন অভিজ্ঞতা দিয়ে গাজীপুরের জন্য কাজ করব। মায়ের সঙ্গে থেকে গাজীপুরকে পরিকল্পিত নগরী করে দেব। কোন সন্ত্রাসীর কাছে মাথা নত করবো না।’

৪৮০ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফল
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জায়েদা খাতুন ঘড়ি প্রতীকে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়েছেন। আর আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। অন্য কোন প্রার্থী এই দুইজনের ভোটের কাছাকাছি ছিলেন না।

মাছ প্রতীকের আতিকুল ইসলাম পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, লাঙ্গল মার্কার এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, হাতপাখার গাজী আতাউর রহমান ৪৫ হাজার ৩৫২, গোলাপ ফুল প্রতীকের মো. রাজু আহমেদ পেয়েছেন ৭ হাজার ২০৬ ভোট, ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশিদ ২ হাজার ৪২৬ ও হাতি প্রতীক নিয়ে সরকার শাহনূর ইসলাম পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ