সোমবার , ২২ মে ২০২৩ | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদী বিএনপি : কমিটি ছাড়াই সাড়ে চার বছর

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
মে ২২, ২০২৩ ৪:৫৪ অপরাহ্ণ

নেতৃত্ব ছাড়াই চলছে পাবনার ঈশ্বরদী বিএনপি। প্রায় সাড়ে চার বছর উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি নেই। আহ্বায়ক কমিটি গঠন ও বিলুপ্তির মধ্য দিয়ে কমিটি গঠন প্রক্রিয়া ঘুরপাক খাচ্ছে। সম্প্রতি কমিটি ঘোষণার কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। দলের অঙ্গ-সংগঠনগুলোও চলছে নেতাবিহীন। উপজেলা ও পৌর যুবদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি ছাড়া অন্য কোনো কমিটি নেই।

অভিযোগ আছে, জেলার ৯ উপজেলাসহ ঈশ্বরদী বিএনপিকে ঢেলে সাজানোর দায়িত্ব হাবিবুর রহমান হাবিব পেলেও তা তিনি করতে পারেননি। এমনকি ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েও মূল্যায়ন করেননি পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে স্থানীয় বিএনপিতে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৯ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় বিএনপি ঈশ্বরদী উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ও পৌর কমিটির সকল প্রকার কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে। এই ঘোষণায় নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

নব্বই দশকের মাঝামাঝি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব বিএনপিতে যোগ দেন। সে সময় উপজেলা বিএনপির নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম সরদার। হাবিবের যোগদানের পর থেকেই বিএনপি হাবিব ও সিরাজ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। প্রকাশ্যে এই দুই নেতার বিরোধের কারণে ঈশ্বরদীতে শক্ত অবস্থান থাকার পরও ১৯৯১ সালের পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির কোনো প্রার্থী জয়ী হয়নি।

এদিকে গত বছরের ১৪ নভেম্বর পাবনা জেলা বিএনপির সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। সভার একপর্যায়ে তিনি দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব নিরসনে সিরাজ ও হাবিবকে মিলিয়ে দেন। দুজনকে সকল দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে মিলেমিশে রাজনীতি করার পরামর্শ দেন। এরপরও সিরাজ-হাবিব দ্বন্দ্ব মেটেনি। দ্বন্দ্ব, কোন্দল, গ্রুপিং লেগে থাকায় কমিটি দাঁড় করানো সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

অভিযোগ রয়েছে সিরাজুল ইসলাম সরদারকে নিয়েও। তিনি ‘সুযোগসন্ধানী’ নেতাÑ এ মন্তব্যও দলের অনেকের। তারা বলেন, দীর্ঘদিন তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। ইদানীং সক্রিয় হয়েছেন। বিশেষ করে জাকারিয়া পিন্টু কারাগারে যাওয়ার পর থেকে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় সভা করছেন, নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিএনপি নেতা জানিয়েছেন, ত্যাগী নেতাদের গুরুত্ব না দিয়ে পছন্দের ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কমিটি গঠনে অটল থাকায় দ্বন্দ্ব কাটছে না, কমিটিও হচ্ছে না। তৃণমূল বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, দীর্ঘদিন থেকে জেল-জুলুম সহ্য করা, মামলায় জর্জরিত, দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকা ত্যাগী নেতাকর্মীদের অগ্রাধিকার দিয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠন করতে হবে।

উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুলতান আলী বিশ্বাস টনি বলেন, ‘দীর্ঘদিনের কমিটি জটিলতাই ঈশ্বরদীর বিএনপিকে বিভক্ত করে রেখেছে। বিতর্কমুক্ত হবে যখন গণতান্ত্রিক উপায়ে ও আলোচনার মাধ্যমে কমিটি করা হবে। আলোচনা ছাড়াই এবং কর্মীবান্ধব নয় ও অযোগ্যদের নিয়ে যদি কমিটি গঠন করা হয় তাহলে তো দ্বন্দ্ব, কোন্দল হবেই। দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের গুরুত্ব না দিলে ঈশ্বরদীতে বিএনপি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।’

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘বিএনপিতে কোনো বিরোধ নেই, দ্বন্দ্ব-কোন্দল নেই। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কারণেই পাবনা জেলার উপজেলা ও পৌর কমিটিগুলো বিলুপ্ত করা হয়েছে। শিগগিরই ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌরসহ অন্য কমিটিগুলো গঠন করা হবে।’

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ