রবিবার , ৭ মে ২০২৩ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. নির্বাচন

ঈশ্বরদীতে ঝড়-শিলাবৃষ্টির আতঙ্কে আম-লিচুচাষিরা

প্রতিবেদক
আমাদের ঈশ্বরদী রিপোর্ট :
মে ৭, ২০২৩ ৮:৪৬ অপরাহ্ণ

গাছে গাছে পাকার অপেক্ষায় আম ও কাঁঠাল। সবুজ থেকে লাল রং ধারণ করছে লিচুও। আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে গ্রীষ্মকালীন এসব ফল বাজারে আসবে। কিন্তু টানা তাপপ্রবাহের পর সাম্প্রতিক ঝড় ও শিলাবৃষ্টি আমচাষিদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড়-শিলাবৃষ্টির কারণে মাঠের ফসল ও মৌসুমি ফলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। আবারও ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, যা আতঙ্কিত করছে চাষিদের।

বাগানের প্রতিটি গাছে গত বছর ১২ থেকে ১৫ হাজার লিচু ধরেছিল বলে জানান ঈশ্বরদী উপজেলার বাঘইল গ্রামের লিচুচাষি রেজাউল করিম। তিনি বলেন, এবার এসব গাছ থেকে ৮ থেকে ১০ হাজারের বেশি লিচু মিলবে না। এর মধ্যে যদি ঝড় বা শিলাবৃষ্টি হয়, তাহলে পুরোটাই শেষ। তাই তাঁরা দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন।

বাগানে পাকতে শুরু করেছে নিচু। শুক্রবাহ্যর ঈশ্বরদীর জয়নগরে।


জেলার শহরতলির হিমাইতপুর গ্রাম থেকে আমচাষি রবিউল ইসলাম বলেন, এবার আমের ফলন ভালো। তবে সাম্প্রতিক শিলাবৃষ্টিতে আমের বেশ ক্ষতি হয়েছে। আবার ঝড় বা শিলাবৃষ্টি হলে চাষিরা আরও ক্ষতির মুখে পড়বেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ১৪ হাজার ৯৬৬ হেক্টর জমিতে মৌসুমি ফলের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৭১১ হেক্টর জমিতে লিচু ও ২ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ করেছেন চাষিরা। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠাল ফলেছে। এর মধ্যে গত ৩০ এপ্রিল ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ৩০ হেক্টর জমির লিচু ও ৪৫ হেক্টর জমির আম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

কৃষি বিভাগ ও স্থানীয় চাষিদের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে দিনে প্রচণ্ড দাবদাহ ও রাতে ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য ফলের বাগানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে, বৃষ্টি না হওয়ায় ফুল থেকে গুটি বের হওয়ার সময় অনেক ফল ঝরে গেছে। এখন গাছে যে পরিমাণ ফল আছে, তা নিয়েই আশায় বুক বেঁধে আছেন চাষিরা। ঝড় ও শিলাবৃষ্টির কবলে না পড়লে এ থেকে তাঁরা লাভের প্রত্যাশা করছেন।

শুক্রবার সকালে পাবনা সদর ও ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন বাগানে ঘুরে চাষিদের সঙ্গে কথা হয়। জেলার শহরতলির গ্রাম হিমাইতপুর বেশ কয়েকটি আমবাগানে গাছে গাছে ঝুলছিল সবুজ আম। পাকার অপেক্ষামাত্র। এ গ্রাম থেকে পাবনা-পাকশী সড়ক ধরে এগোলে রাস্তার দুপাশে লিচুবাগানের দেখা মেলে। জেলা সদর অংশ শেষ হলেই ঈশ্বরদী উপজেলা শুরু। এ সড়কের দুদিকেও যত দূর চোখ যায় শুধু লিচুরবাগান। টুকটুকে লাল লিচুতে রঙিন হতে শুরু করেছে বাগানগুলো।

ঈশ্বরদীর সাহাপুর গ্রামের লিচুচাষি মিরাজুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর লিচুর ফলন কম হয়েছে। তবে গাছে যা লিচু আছে, তা থেকে লাভের আশা করছেন। আগামী ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে লিচু বাজারে উঠতে শুরু করবে। এর মধ্যে ঝড় বা শিলাবৃষ্টি হলে কৃষকের সব আশা ভেস্তে যাবে।

ঈশ্বরদী থেকে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক শাহজাহান আলী বলেন, জেলা থেকে এই মৌসুমে কয়েক শ কোটি টাকার ফল বিক্রি হয়। এ এলাকার কৃষি অর্থনীতিতে মৌসুমি ফলের বড় ভূমিকা রয়েছে। এ কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা থাকলে চাষিরা আতঙ্কিত হন।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে না হলে কৃষকের আশানুরূপ ফলন মিলবে বলে প্রত্যাশা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহ আলমেরও। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসলের কিছু ক্ষতি হয়েছে। তাই আবারও ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাসে চাষিরা কিছুটা চিন্তায় আছেন।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

error: Content is protected !!