বৃহস্পতিবার , ৬ এপ্রিল ২০২৩ | ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদী বিমানবন্দর খুলবে সম্ভাবনার নতুন দ্বার

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
এপ্রিল ৬, ২০২৩ ১২:৫৮ অপরাহ্ণ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ঈশ্বরদী ইপিজেডের কারণে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর ঘিরে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন হয়েছে। রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক, দেশি-বিদেশি ক্রেতা-বিক্রেতা ও কর্মকর্তারা বিমানবন্দরটি চালু হলে ব্যাপক সুবিধা পাবেন।

এছাড়া ঈশ্বরদীতে বাংলাদেশ ডাল গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঈশ্বরদী সেনানিবাস, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় কার্যালয়সহ অর্ধশতাধিক জাতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সহজ যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর। শুধু ঈশ্বরদী নয় পাবনা, কুষ্টিয়া, নাটোর ও সিরাজগঞ্জসহ আশপাশের ব্যবসায়ীদের কাছেও ঈশ্বরদী বিমানবন্দরের কদর রয়েছে।

এসব কারণে সাত বছর ধরে বন্ধ থাকা ঈশ্বরদী বিমানবন্দরটি অবিলম্বে চালু করার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এটি চালু হলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এয়ারলাইনস ব্যবসায়ী— উভয়ই লাভবান হবেন। পাশাপাশি সরকারেরও রাজস্ব আয় হবে বলে মনে করছেন তারা। এছাড়া জেলায় বেশকিছু আধুনিক আবাসিক হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। বিমানবন্দরটি চালু হলে রিসোর্টকেন্দ্রিক যাত্রীও আসা-যাওয়া শুরু হবে।

ব্রিটিশ শাসনামলে ৪৩৬ একর জায়গায় পাবনার ঈশ্বরদীতে বিমানবন্দরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর রানওয়ের দৈর্ঘ্য চার হাজার ৭০০ ফুট, প্রস্থে ৭৫ ফুট। ১৯৮৭ সালে লোকসানসহ নানা অজুহাতে প্রথম বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করে ১৯৯৪ সালে বিমানবন্দরটি আবার চালু করা হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত নিয়মিত এ বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ২০১৩ সালে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ঈশ্বরদী বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে। কিন্তু ছয় মাস ১১ দিন চালু থাকার পর ২০১৪ সালের ২৯ মে এটি আবারও বন্ধ হয়ে যায়


বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নথি থেকে জানা গেছে, ব্রিটিশ শাসনামলে ৪৩৬ একর জায়গায় পাবনার ঈশ্বরদীতে বিমানবন্দরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর রানওয়ের দৈর্ঘ্য চার হাজার ৭০০ ফুট, প্রস্থে ৭৫ ফুট। ১৯৮৭ সালে লোকসানসহ নানা অজুহাতে প্রথম বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করে ১৯৯৪ সালে বিমানবন্দরটি আবার চালু করা হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত নিয়মিত এ বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ২০১৩ সালে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ঈশ্বরদী বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে। কিন্তু ছয় মাস ১১ দিন চালু থাকার পর ২০১৪ সালের ২৯ মে এটি আবারও বন্ধ হয়ে যায়। তবে, মাঝেমধ্যে হেলিকপ্টার ও বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানগুলোকে এটি ব্যবহার করতে দেখা যায়।

জানা গেছে, পাবনার ঈশ্বরদী থেকে ঢাকার দূরত্ব ১৭৫ কিলোমিটার। ঢাকা-আরিচা হাইওয়ে ধরে এ পথ পাড়ি দিতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। এ রুটে ১৩০ থেকে ১৩৫টির মতো এসি, নন-এসি বাস নিয়মিত যাতায়াত করে। অপরদিকে, পশ্চিম রেলওয়ের বিভাগীয় কার্যালয় ঈশ্বরদীর পাকশীতে অবস্থিত। সেখান থেকে বেশকিছু ট্রেন নিয়মিত ঢাকায় যাতায়াত করে। সবমিলিয়ে কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন ঢাকায় যাওয়া-আসা করেন।

ঈশ্বরদী বিমানবন্দরের সঙ্গে এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক বিষয় জড়িত। কারণ, এখানে প্রায় পাঁচ হাজার বিদেশি বসবাস করেন। হঠাৎ তারা অসুস্থ হলে দ্রুত ঢাকায় নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই ঈশ্বরদীর উন্নয়নের কথা চিন্তা করে দ্রুত বিমানবন্দরটি খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি
সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব খন্দকার মাহবুবুল হক দুদু


সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব খন্দকার মাহবুবুল হক দুদু বলেন, ঈশ্বরদী বিমানবন্দরের সঙ্গে এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক বিষয় জড়িত। কারণ, এখানে প্রায় পাঁচ হাজার বিদেশি বসবাস করেন। হঠাৎ তারা অসুস্থ হলে দ্রুত ঢাকায় নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই ঈশ্বরদীর উন্নয়নের কথা চিন্তা করে দ্রুত বিমানবন্দরটি খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ কিরণ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যে সব রিলিফ ওয়ার্ক হয়েছিল তা কার্গো বিমানে করে এখানে অবতরণ করত। স্বাধীনতা উত্তর সময়ে বিমানের যাবতীয় কাজ এ বিমানবন্দরের মাধ্যমে পরিচালনা করা হতো। ঈশ্বরদী সমৃদ্ধ হলেও অব্যবস্থাপনার কারণে বিমানবন্দরটি বন্ধ হয়ে যায়। নাগরিক সমাজের ব্যানারে সর্বস্তরের জনগণ বিমানবন্দরটি চালুর দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল করলেও এখনও এটি চালু করা হয়নি। নাগরিক সংবর্ধনায় বিমান প্রতিমন্ত্রী ঈশ্বরদী বিমানবন্দর খুলে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপরও এটি চালু না হওয়া খুবই দুঃখজনক।

ব্রিটিশ শাসনামলে ৪৩৬ একর জায়গায় পাবনার ঈশ্বরদীতে বিমানবন্দরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর রানওয়ের দৈর্ঘ্য চার হাজার ৭০০ ফুট, প্রস্থে ৭৫ ফুট / আমাদের ঈশ্বরদী।


চীনের হুনান প্রদেশের চাংশা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে পড়াশোনা করেন পাবনার জীবন কুমার সরকার। তিনি বলেন, করোনার সময় চীনে যাওয়ার জন্য কোভিড টেস্টের প্রয়োজন হয়। সেজন্য ঢাকায় যাওয়ার জন্য বের হই। কিন্তু দুই দিনের অবরোধের জন্য পাবনা থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অথচ, ঈশ্বরদী বিমানবন্দরটি চালু থাকলে এ সমস্যা হতো না। পাবনা থেকে কেউ অসুস্থ হলেও বিমানবন্দরটি বন্ধ থাকায় চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরকেন্দ্রিক যাত্রীদের টিকিট কেনাবেচা করে আসছে ঈশ্বরদীর সরকার এয়ার এক্সপ্রেস অ্যান্ড ট্রাভেলস। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. শাহান শাহ আলমগীর বাবু বলেন, ঈশ্বরদীতে যাতায়াতের জন্য পর্যাপ্ত যাত্রী রয়েছে। আগে ঢাকা থেকে ঈশ্বরদী হয়ে রাজশাহীতে দুটি উড়োজাহাজ চলাচল করত। দুটি স্টেশন মিলে আমরা সমঝোতা করে অর্ধেক অর্ধেক টিকিট বিক্রি করতাম। এখন শুধু রাজশাহীতেই পাঁচটি উড়োজাহাজ চলাচল করে। ঈশ্বরদীকেন্দ্রিক যে পরিমাণ যাত্রী রয়েছে তাতে এখন ঈশ্বরদীতেই ৪/৫টি উড়োজাহাজ পরিচালনা করা সম্ভব।

বিমানবন্দরটি নিয়ে আমরা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে দাবি তুলেছি। এ নিয়ে জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়েছে। বিমানবন্দর হয়ে গেলে বিদেশি অনেক বিশেষজ্ঞ সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন। এতে প্রকল্পের কাজও অনেক দ্রুতগতিতে হবে। রাশিয়ার ফুয়েল সরাসরি রূপপুরে আসবে। রাশিয়া থেকে সরাসরি পারমাণবিক জ্বালানি আসবে। রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের অভূতপূর্ব কল্যাণ হবে যদি এখানকার বিমানবন্দরটি খুলে দেওয়া হয়

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের প্রধান প্রশাসন ও অর্থ কর্মকর্তা অলক চক্রবর্তী


তিনি আরও জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ইপিজেডসহ আশপাশের মানুষের প্রতিনিয়ত ভ্রমণ করতে হয়। ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালু না থাকায় রাজশাহী ও যশোর বিমানবন্দর দিয়ে ঢাকা ও অন্যান্য জায়গায় ভ্রমণ করতে হচ্ছে। এছাড়া অনেক যাত্রী আছেন যারা ঈশ্বরদী হয়ে ঢাকা-কক্সবাজার ভ্রমণ করতে চান। বিমানবন্দর চালু না থাকায় তাদের যথেষ্ট পরিমাণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ঈশ্বরদী ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আনিছুর রহমান বলেন, ঈশ্বরদী বিমানবন্দরটি চালু করা হলে অবশ্যই দেশি-বিদেশি শিল্পোদ্যোক্তারা এখানকার ইপিজেডে আরও বেশি বিনিয়োগ করবেন। আমরা আকাশপথে আসা-যাওয়ার বিষয়টি বারবার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করছি। আকাশপথের অভাবে এবং সড়কপথে আসতে অনেক সময় লাগার কারণে তারা এখানে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছেন।

‘গত ৫ মার্চ ইপিজেডে বিনিয়োগের সুযোগ ও টেকসই উন্নয়ন শীর্ষক একটি সেমিনারে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এখানে আগত দেশি-বিদেশি শিল্পোদ্যোক্তারা দ্রুত বিমানবন্দর চালুর দাবি জানিয়েছেন। ইপিজেড কর্তৃপক্ষ সরকারের উচ্চমহলে ইতোমধ্যে যোগাযোগ করেছে।’

অনেক দিন ধরে দেশের অব্যবহৃত বিমানবন্দরগুলো চালু করার জন্য বলে আসছি। বিমানবন্দর চালু হলে ওই অঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হয়। ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালু হলে পাবনাসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলা থেকে নিয়মিত যাত্রী পাওয়া যাবে। আমরা চাই ঈশ্বরদী বিমানবন্দরটি চালু হোক। কারণ, এখানে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে, বিদেশিরা অবস্থান করছেন। ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালু হলে রূপপুর প্রকল্প ও ইপিজেডের প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ অন্যদের যাতায়াতের প্রধান বাহন হবে বিমান। যদি এখানে অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোর মতো সুযোগ-সুবিধা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় তাহলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস এ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে
বেসরকারি সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের রোসেম কোম্পানিতে কর্মরত দুই রুশ নাগরিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে ঈশ্বরদীর গুরুত্ব অনেক বেশি। আমরা যখন জরুরি প্রয়োজনে ঢাকা যাই তখন অসহনীয় যানজটের কবলে পড়তে হয়। যদি বিমানবন্দর চালু হয় তাহলে আমাদের যাতায়াতের অনেক সুবিধা হবে। কিন্তু আমরা সেই সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের প্রধান প্রশাসন ও অর্থ কর্মকর্তা অলক চক্রবর্তী বলেন, বিমানবন্দরটি নিয়ে আমরা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে দাবি তুলেছি। এ নিয়ে জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়েছে। বিমানবন্দর হয়ে গেলে বিদেশি অনেক বিশেষজ্ঞ সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন। এতে প্রকল্পের কাজও অনেক দ্রুতগতিতে হবে। রাশিয়ার ফুয়েল সরাসরি রূপপুরে আসবে। রাশিয়া থেকে সরাসরি পারমাণবিক জ্বালানি আসবে। রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের অভূতপূর্ব কল্যাণ হবে যদি এখানকার বিমানবন্দরটি খুলে দেওয়া হয়।

 

ঈশ্বরদী কেন্দ্রিক যে পরিমাণ যাত্রী রয়েছে তাতে এখন ঈশ্বরদীতেই ৪/৫টি উড়োজাহাজ পরিচালনা করা সম্ভব— বলছেন স্থানীয়রা / আমাদের ঈশ্বরদী।

পাবনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি বলেন, পাবনা সবদিক দিয়ে সমৃদ্ধ হলেও দীর্ঘদিন ধরে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর বন্ধ। বিমানবন্দরটি শিগগিরই চালু হওয়া প্রয়োজন। ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে এ বিমানবন্দর। এটির মাধ্যমে আমরা পাবনাবাসী ও জেলার ব্যবসায়ীরা বিশেষ উপকৃত হব। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও ইপিজেডের জন্য বিমানবন্দরটি বিশেষভাবে প্রয়োজন। এটি চালু হলে পাবনার আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।

বেসরকারি সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম বলেন, সর্বশেষ ২০১৩ সালে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ঈশ্বরদী বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে। পরে ২০১৪ সালে এটি বন্ধ হয়ে যায়। আমরা শুরু করেছিলাম ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই। দেশের সবগুলো বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিমান চলাচল করছে। অনেক দিন ধরে দেশের অব্যবহৃত বিমানবন্দরগুলো চালু করার জন্য বলে আসছি। বিমানবন্দর চালু হলে ওই অঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হয়। ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালু হলে পাবনাসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলা থেকে নিয়মিত যাত্রী পাওয়া যাবে। আমরা চাই ঈশ্বরদী বিমানবন্দরটি চালু হোক। কারণ, এখানে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে, বিদেশিরা অবস্থান করছেন। ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালু হলে রূপপুর প্রকল্প ও ইপিজেডের প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ অন্যদের যাতায়াতের প্রধান বাহন হবে বিমান। যদি এখানে অন্যান্য অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের মতো সুযোগ-সুবিধা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় তাহলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস এ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

ঈশ্বরদীর বিমানবন্দর পাবনার ঐতিহ্যের অংশ। কিন্তু হঠাৎ করে বিমানবন্দরটি বন্ধ হয়ে যায়। সব প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিমানবন্দরটি চালু হওয়া প্রয়োজন। কারণ, যানজটের কারণে চার-পাঁচ ঘণ্টার রাস্তা আট থেকে ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লেগে যায়। বিমানবন্দরটি চালু করার জন্য বারবার বলে আসছি। সাবেক বিমানমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, জি এম কাদের ও বর্তমান বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব ভাইয়ের সঙ্গে আমরা বারবার আলোচনা করেছি। এমনকি বিষয়টি সংসদেও উত্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া আমরা বিমানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। উনিও খুব পজিটিভ। আমরাও চাই বিমানবন্দরটি চালু হোক
পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স


ঈশ্বরদী বিমানবন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার ও রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরের স্টেশন ম্যানেজার মোছা. দিলারা পারভীনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন বলেন, ঈশ্বরদীর বন্ধ থাকা বিমানবন্দরটি চালু করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব দেওয়া আছে। বিষয়টি সরকার বিবেচনা করবে।

পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, ঈশ্বরদীর বিমানবন্দর পাবনার ঐতিহ্যের অংশ। কিন্তু হঠাৎ করে বিমানবন্দরটি বন্ধ হয়ে যায়। সব প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিমানবন্দরটি চালু হওয়া প্রয়োজন। কারণ, যানজটের কারণে চার-পাঁচ ঘণ্টার রাস্তা আট থেকে ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লেগে যায়। বিমানবন্দরটি চালু করার জন্য বারবার বলে আসছি। সাবেক বিমানমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, জি এম কাদের ও বর্তমান বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব ভাইয়ের সঙ্গে আমরা বারবার আলোচনা করেছি। এমনকি বিষয়টি সংসদেও উত্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া আমরা বিমানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। উনিও খুব পজিটিভ। আমরাও চাই বিমানবন্দরটি চালু হোক।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী