বিরল ও বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণী তক্ষক ও ধাতব পদার্থের সীমানা পিলার বিক্রয় করে অন্ধকার পথে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে পড়েছেন ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল গ্রামের ক’জন ব্যক্তি। ইতোমধ্যেই এই চক্রটি প্রতারণা করে কয়েকজনকে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও খবর রয়েছে। তবে এই ব্যবসার সঙ্গে একজন বাঘইল কলপাড়ার এলাকার এক নেতা, বাঘইল স্কুলপাড়ার এক নেতা, রেলওয়ে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের এক পিয়ন জড়িত রয়েছেন। আর তাদের অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছেন কাস্টমসে কর্মরত এক ব্যক্তি। খবরটি বেশ কয়েকমাস ধরে আলোচনায় রয়েছে বলে একাধিক সুত্র দাবী করেছে।
একাধিক সুত্র মতে, ইতোমধ্যেই বিদ্যালয়ের পিয়নটি মহামুল্যবান ধাতব তৈরী সীমানা পিলার দেওয়ার কথা বলে কয়েক ব্যক্তির নিকট থেকে অন্তত ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বাঘইলে জমি কিনেছেন। বাড়ি করেছেন। এক নেতা তক্ষক ক্রয়ের জন্য লক্ষাধিক টাকা বিনিয়োগ করেছেন। প্রচার রয়েছে এই টাকা দিয়ে অপর এক নেতা বিলুপ্ত প্রজাতের তক্ষকের একটি বাচ্চা কিনে গোপনে নিজের বাড়িতে খুবই যন্ত সহকারে লালন পালন করছেন বলেও সুত্রগুলো দাবী করেছেন।
সুত্রগুলো মতে, পিয়ন ও এক নেতা দেশের বিভিন্ন স্থানে তক্ষক ও ধাতব সীমানা পিলারের খোঁজে ছুটে চলেছেন। আর তাদের ছুটাছুরি জন্য পেছন থেকে টাকা বিনিয়োগ করছেন কাস্টমসে কর্মরত এক ব্যক্তি ও বাঘইল কলপাড়া এলাকার এক নেতা।
অপর সুত্রগুলো দাবী করে জানান, তক্ষক প্রাণী ও ধাতব সীমানা পিলারের শুধু নাম শোনা যায়। কিন্তু বাস্তবে এদের খোঁজ পাওয়া যায় না। এটি মুলত এক ব্যবসায়ী আরেক ব্যবসায়ীকে ঠকানো ছাড়া আর কিছুই নয়। এই অন্ধকার পথে স্বল্প সময়ে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে অনেক মানুষ সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়েছেন। কিন্তু কোটিপতি আর হতে পারেননি।
বাঘইল গ্রামের এক স্বপ্নবাজ চোরাই ব্যবসায়ী ও প্রতারকরা ইতোমধ্যেই দেশের কয়েকটি এলাকার মানুষের নিকট থেকে প্রতারণামুলক মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। দুইএকজন আবার গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। বিষয়টি অত্যান্ত গুরুত্ব দিয়ে স্থানীয় প্রশাসন বাঘইল গ্রামের উল্লেখিত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে গ্রেফতার করা হলে প্রতারণার হাত থেকে মুক্তি পাবেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষরা।