পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ২৩ দিনের শিশুর হাতের ক্যানোলা খুলতে গিয়ে একটি আঙুলের নখের একাংশ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক আয়ার বিরুদ্ধে ৷ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিশুটির স্বজনেরা। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ভুক্তভোগী শিশুর নাম মিষ্টি পাল। বাবার নাম চন্দন পাল। বাড়ি জেলার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ গ্রামে। অভিযুক্ত আয়ার নাম আঞ্জুয়ারা খাতুন বলে জানা গেছে। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার দাপুনিয়া এলাকায়।
শিশুটির পিতা চন্দন পাল বলেন, ঠান্ডাজনিত কারণে তাঁর ২৩ দিনের নবজাতক মিষ্টি পালকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২৫০ শয্যার পাবনা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। ২ মার্চ সকালে শিশুটির শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলে দুপুরে ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে জানান হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। ছাড়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। এমন সময় নার্সের বদলে শিশুটির হাতে লাগানো ক্যানোলা খুলতে যান আঞ্জুয়ারা খাতুন নামের একজন আয়া। কাঁচি দিয়ে ক্যানোলা কাটতে গিয়ে শিশুটির ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙুলের নখের অগ্রভাগ কেটে ফেলেন আয়া।’
তখন শিশুটির চিৎকারে ছুটে আসেন পাশের অন্য রোগীরা। তখন সুযোগ বুঝে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত আয়া। নার্সের কাজ কীভাবে একজন আয়া করল এমন প্রশ্ন তোলের অন্য রোগীর স্বজনেরা। একজনের ভুলে একটি শিশুর অঙ্গহানি মেনে নিতে পারছে না অনেকেই।
শিশুটির দাদা কার্তিক পাল বলেন, কাঁচি দিয়ে ক্যানোলার সার্জিকাল টেপ কাটতে গিয়ে মিষ্টি পালের কেনি আঙুলের অগ্রভাগে নখের একটি অংশ কেটে ফেলেন আয়া। এতে শিশুটি উচ্চ স্বরে কান্না শুরু করে। শিশুটির হাতের আঙুল দিয়ে রক্ত বের হয়।’
কর্তব্যরত কয়েকজন নার্স ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও দায়িত্বে অবহেলার দায় না নিয়ে অভিযুক্ত আয়ার ওপরই দোষ চাপান তাঁরা।
এ বিষয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. ওমর ফারুক মীর বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। কীভাবে, কার অবহেলায় এমন ঘটনা ঘটল তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঘটনার পর অভিযুক্ত আয়া আঞ্জুয়ারা খাতুন পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই মাসে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাতের তিনটি আঙুল হারায় ১৩ মাস বয়সী শিশু তাছিম।