সম্মেলনের এক বছর পর পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। পাবনা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল এবং পাবনা সদর আসনের সংসদ গোলাম ফারুক প্রিন্সের নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বেশ কিছু চমক রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়। এর আগে গত রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কমিটি অনুমোদন দেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
৯৮ সদস্যের কমিটিতে ২৩ জনকে উপদেষ্টা ও ৩৬ জনকে সদস্য করা হয়েছে। কমিটির সবচেয়ে বড় চমক সদ্য আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সাবেক মেয়র কামরুল হাসান মিন্টুকে প্রথম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটির সাবেক সদস্য কামরুজ্জামান উজ্জলকে তৃতীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ভূমিমন্ত্রী প্রয়াত শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর ছেলে গালিবুর রহমান শরীফকে সাংগঠনিক সম্পাদক, পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে দলের বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হওয়া মেয়র শরিফ উদ্দিন প্রধানসহ তার নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে নোটিশপ্রাপ্ত হওয়া বেশ কয়েকজনকে রাখা হয়েছে কমিটিতে।
কমিটিতে যাদের নাম অনুমোদন দেয়া হয়েছে তারা হলেন- সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, সহ-সভাপতি সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, আ স ম আব্দুর রহিম পাকন, অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাকো, অ্যাডভোকেট বেলায়েত আলী বিল্লু, চন্দন কুমার চক্রবর্তী, আজিজুল হক আরজু, তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, আবু ইসহাক শামীম, এমদাদ আলী বিশ্বাস ভুলু, আহম্মেদ ফিরোজ কবির এমপি ও মনির উদ্দিন আহমেদ মান্নান।
সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মিন্টু, অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবু ও কামরুজ্জামান উজ্জল, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামাদ খান রতন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক রাগীব হাসান টিপু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৌফিক ইমাম খান, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শাওয়াল বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সুইট, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মীর জহুরুল হক (পুনো), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সরদার মিঠু আহমেদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জামিরুল ইসলাম সাইকেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুল আলীম (ভাঙ্গুড়া), মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাহাজেবিন শিরিন পিয়া, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাহাব উদ্দিন সবুজ, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আলী জিরু, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শ্রী প্রলয় চাকী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল আওয়াল।
সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় ভূষণ রায়, গালিবুর রহমান শরীফ ও আব্দুল হান্নান। উপ-দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাবিত ফয়সাল রিজভী শাওন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন তফা এবং কোষাধ্যক্ষ লিয়াকত আলী তালুকদার।
সদস্যরা হলেন- সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাস, সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি, আডভোকেট আব্দুল মতিন (নগরবাড়ী), শহিদুল্লাহ সহিদ, আব্দুল বারি বাকী, বশির আহমেদ বকুল, ড. মজিবর রহমান, মো. রশিদুল্লাহ, অ্যাডভোকেট শাহ আলম, খ ম হাসান কবির আরিফ, খন্দকার মো. কামরুজ্জামান মাজেদ, আব্দুল হামিদ মাস্টার, কামিল হোসেন, বাকি বিল্লাহ, মোশাররফ হোসেন, সোহেল হাসান শাহীন, রফিকুল ইসলাম রুমন, অ্যাডভোকেট তসলিম হাসান সুমন, মাযহার মানিক, আব্দুল মতিন খান, মোস্তাক আহমেদ আজাদ, শেখ সুরাইয়া, সরদার মো. ফারুক হোসেন, আনোয়ারা, আবু সাঈদ খান, তৌফিকুল আলম তৌফিক, শরীফ উদ্দিন প্রধান, আলী মুতর্জা বিশ্বাস সনি, আব্দুল আজিজ খান, আব্দুল হান্নান শেলী, বাদল কুমার ঘোষ, সাকিবুর রহমান শরীফ কনক, মো. কামরুজ্জামান বিশ্বাস (জিপু), ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আলীম এবং সেলিম রেজা সুইট।
উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা হলেন- খন্দকার জাহাঙ্গীর কবির রানা, অ্যাডভোকেট এ কে এম শামসুদ্দিন, শামসুর রহমান মানিক, অ্যাডভোকেট তোরাব আলী খান, অ্যাডভোকেট বেলায়েত আলী বিল্লু, আব্দুল মতিন খান, ড. গোলাজার হোসেন, সাজেদুর রহমান নীলু, মেজর জেনারেল (অব.) ফসিউর রহমান, সেলিনা পারভীন বকুল, কানিজ ফাতেমা পুতুল, প্রভাষক আমিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুল জাহিদ রানা, অ্যাডভোকেট ওবায়দুল হক, ফজলুর রহমান মাসুদ, অ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান মুক্তা, এনামুল হক টগর, অ্যাডভোকেট হোসেন শহীদ সোরাওয়ার্দী, মোক্তার হোসেন এবং আব্দুল মতিন।
উল্লেখ্য, আগের কমিটির ৭ বছর প।র ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পাবনা পুলিশ লাইন্স মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে পাবনা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লালকে সভাপতি এবং পাবনা সদর আসনের সংসদ গোলাম ফারুক প্রিন্সকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান। এক বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেল জেলা আওয়ামী লীগ।