মঙ্গলবার , ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদীর সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা : জানুয়ারি মাসেই ৫ জনের প্রাণহানি

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩ ৫:৫৩ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরদীর সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা : জানুয়ারি মাসেই ৫ জনের প্রাণহানি

সড়ক-মহাসড়কে বাস-ট্রাক, সিএনজি, মোটরসাইকেল ও অবৈধ ভটভটিসহ বেপরোয়া গতিতে যানবাহনের চলাচলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) পাবনার ঈশ্বরদীর অরোনকোলা পশ্চিম পাড়া কৃষি কলেজের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি গরু বোঝাই নসিমন সামির হোসেন নামে চার বছরের এক শিশুকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এভাবেই ঈশ্বরদীর সড়ক-মহাসড়কে প্রাণ হারাচ্ছে শিশু, তরুণসহ বয়স্ক মানুষ। চলতি বছরের প্রথম মাসেই চারটি দুর্ঘটনায় শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৮ জানুয়ারি সাহাপুরে ইট বোঝাই ট্রলির ধাক্কায় একজন, ৯ জানুয়ারি ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কে ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই যুবক ও ২৫ জানুয়ারি দাশুড়িয়ার বহরপুরে কাঠ বোঝাই একটি ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী প্রাণ আরএফএল গ্রুপের এক কর্মকর্তা প্রাণ হারান। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ঈশ্বরদীর আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২০টি। এতে অন্তত ২৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে। উপজেলার পাকশী হাইওয়ে থানা পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

হাইওয়ে পুলিশ বলছে, ঈশ্বরদীর বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। ট্রাফিক আইন না মানা, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, ওভারটেক দুর্ঘটনার মূল কারণ। সড়কে যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেট কার, মাইক্রো, ট্রাক, সিএনজি ও মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণহীন গতিতে চলাচল করে। মামলা করার পরও চালকেরা ট্রাফিক নিয়ম না মেনে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছেন। গ্রামীণ সড়কগুলোতেও প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঘটনা ঘটছে। আইনের প্রয়োগ করেও দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা যাচ্ছে না। এতে সড়কে চলাচলকারী মানুষ শঙ্কিত।

সড়কে বালু বোঝাই ট্রাক ছাড়াও বেপরোয়া গতিতে সিএনজি, মোটরসাইকেল চলাচল করায় দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে বলে জানান দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড়ের ব্যবসায়ী আবুল হাশেম। তিনি বলেন, ‘সড়কে মালবাহী বিভিন্ ধরনের যানবাহন, যাত্রীবাহী বাস, বালু বোঝাই ট্রাক বেপরোয়া গতিতে আসা-যাওয়া করে, দেখে ভয় লাগে। কিছু যুবক বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালায়। এতে সড়কে চলাচলকারী অনেকে আতঙ্কিত থাকেন। না জানি কখন কী হয়ে যায়।’

জানতে চাইলে পাকশী হাইওয়ে থানার পরিদর্শক আশীষ কুমার সান্যালের বলেন, ‘অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, যান্ত্রিক ত্রুটি, সড়কে খানাখন্দ, অপ্রশস্ত সড়ক, ট্রাফিক আইন সম্পর্কে চালকেরদর অজ্ঞতা বা অনীহা, লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ চালক ইত্যাদি কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। সড়কের কোথায় বাঁক আছে, গতিবেগ কত হবে, সড়কের পাশে এসব সংকেত দেওয়া থাকলেও চালকেরা তা দেখেন না বা দেখলেও মেনে চলার চেষ্টা না করেন না।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সড়কে মোটরসাইকেল চালকদের অধিকাংশই তরুণ-যুবক। তারা বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালায়। যার কারণে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেশি।’

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ