শনিবার , ৭ জানুয়ারি ২০২৩ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদীতে রিকশাচালককে গুলি করে হত্যা : অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে থানা ঘেরাও

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
জানুয়ারি ৭, ২০২৩ ১২:৩৩ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরদীতে রিকশাচালককে গুলি করে হত্যা : অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে থানা ঘেরাও

‌পাবনার ঈশ্বরদীতে রিকশাচালক মামুন হোসেনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করার দায়ে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা, পৌর কাউন্সিলর ও ছাত্রলীগ সভাপতির ফাঁসির দাবিতে ঈশ্বরদী থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের পিয়ারাখালী এলাকার শত শত মানুষ ও নিহত রিকশাচালকের পরিবারের সদস্যরা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এদিকে শনিবার সকালে হত্যা মামলা থেকে তিন আসামির অব্যাহতি এবং গ্রেপ্তার দু’জনের মুক্তি দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন তাদের স্বজনরা।

থানার মূল গেটের সামনে বিক্ষোভরত বৃষ্টি খাতুন বলেন, রিকশাচালক হওয়া কোনো অপরাধ নয়। প্রকাশ্যে নির্মমভাবে একজন মানুষকে গুলি করে হত্যা করে কোনো সন্ত্রাসী পার পেতে পারে না। আমরা চাই খুনি আনোয়ার উদ্দিন, তার ভাই কামাল উদ্দিনসহ সব অপরাধীর ফাঁসি হোক।

প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের খালাতো ভাই পারভেজ হোসেন বলেন, ‘শত শত মানুষের সামনে সন্ত্রাসী আনোয়ার পকেট থেকে পিস্তল বের করে গুলি করে মামুনকে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’ মামুনের বাবা মনির হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলে কী দোষ করেছিল- যে তাকে অকালে এভাবে প্রাণ দিতে হলো? আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই।’ মামুনের মা লিপি আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলে রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। যারা আমার ছেলেকে হত্যা করল, আমি বেঁচে থাকা অবস্থায় তাদের ফাঁসি দেখতে চাই।’ তিনি বলেন, এ কেমন দেশ যেখানে সবার সামনে নিরপরাধ একজন মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়?
থানা ঘেরাও ও বিক্ষোভ চলাকালে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার এলাকাবাসীকে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিলে তারা থানা চত্বর থেকে ফিরে যান। এ সময় হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি পৌর কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি কামাল উদ্দিন ও তিন নম্বর আসামি ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি হৃদয় হোসেনকে পাবনার আদালত থেকে পুলিশের গাড়িতে ঈশ্বরদী থানায় আনা হচ্ছিল। তাদের দেখে এলাকাবাসী বিক্ষোভ শুরু করলে আসামি বহনকারী ভ্যানটি থানার সামনে থেকে অন্য রাস্তায় ঘুরিয়ে থানা হাজতে নেওয়া হয়।

ওসি জানান, শনিবার ওই দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি তাদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আসামি আনোয়ারকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

হত্যা মামলা থেকে তিন আসামি কামাল, আনোয়ার ও হৃদয়কে অব্যাহতি এবং গ্রেপ্তার দু’জনের মুক্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তাদের স্বজনরা।


এদিকে হত্যা মামলা থেকে তিন আসামি কামাল, আনোয়ার ও হৃদয়কে অব্যাহতি এবং গ্রেপ্তার দু’জনের মুক্তির দাবি জানিয়ে আজ শনিবার সকালে পাবনা-৪ আসনের এমপি নুরুজ্জামান বিশ্বাস ও ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইছাহাক আলীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তাদের স্বজনরা। গত বুধবার মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ