ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ায় পাবনার ঈশ্বরদীতে গ্রেফতার ১২ প্রান্তিক কৃষককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া বেগম তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারি গ্রামের মৃত সোবহান মণ্ডলের ছেলে আবদুল গণি মণ্ডল (৫০), মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে সামাদ প্রামাণিক (৪৩), শুকুর প্রামাণিকের ছেলে আলম প্রামাণিক (৫০), মনিরুলের ছেলে মাহাতাব মণ্ডল (৪৫), কামাল প্রামাণিকের ছেলে শামীম হোসেন (৪৫), মৃত সামির উদ্দিনের ছেলে নূর বক্স (৪৫), মৃত আখের উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান (৫০), রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আকরাম (৪৬), লালু খাঁর ছেলে মোহাম্মদ রজব আলী (৪০), মৃত কোরবান আলীর ছেলে কিতাব আলী (৫০), মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ মজনু (৪০) ও হারেজ মিয়ার ছেলে হান্নান মিয়া (৪৩)।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, সমবায় ব্যাংক থেকে ৩৭ জন কৃষক ২৫-৩০ হাজার টাকা করে ঋণ নিয়েছিলেন। এই ঋণ সুদসহ ফেরত না দেওয়ায় ২০২১ সালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে আদালত পরোয়ানা জারি করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেফতার করে।
কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ময়েজ বলেন, যে অভিযোগে কৃষকদের গ্রেফতার করা হয়েছে এটি সঠিক নয়। ঋণের টাকা কৃষকরা বহু আগে পরিশোধ করেছেন। পরিশোধের রশিদ তাদের কাছে আছে।
তিনি আরও জানান, দেশে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে অনেকে খেলাপি হয়ে আছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি আদেশ জারি হয় না। তারা গ্রেফতার হন না। অথচ কৃষকের সামান্য কয়েক হাজার টাকা ঋণ পরিশোধের পরও মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। কৃষকদের অকারণে গ্রেফতার ও কারাগারে পাঠানোয় নিন্দা জানাচ্ছি।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, গ্রেফতার কৃষকদের দাবি, সব ঋণের টাকা তারা পরিশোধ করেছেন। এরপর কেন মামলা হলো সেটি তারা জানেন না।