এসি কেবিন ও চেয়ার কোচ ছাড়াই চলছে পাকশী রেলওয়ে বিভাগের ‘চিত্রা’ ও ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ নামে দুটি ট্রেন ৷ এ কারণে দুই ট্রেনের আসন সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। এতে হুড়োহুড়ি করে উঠে গাদাগাদি করে বসতে হয় যাত্রীদের। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন খুলনা- ঈশ্বরদী- ঢাকামুখী যাত্রীরা।
প্রায় এক মাস ধরে দুর্ভোগে চললেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
ট্রেনযাত্রীরা জানান, খুলনার যাত্রীরা ট্রেনের আসন না পেলে তার বিপরীত পথ হিসেবে পদ্মা সেতু দিয়ে সড়কপথে সহজেই যাতায়াত করতে পারছেন। তবে কোটচাঁদপুর, দর্শনা হল্ট, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, পোড়াদহ, ভেড়ামারা, ঈশ্বরদীসহ অন্য স্টেশনের যাত্রীরা টিকিট কিংবা আসন না পাওয়ার কারণে ঢাকা যাতায়াতে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।
যাত্রীরা আরও জানান, অনলাইনে দ্রুত টিকিট বিক্রি হয়; তবে অনেকে আবার কাউন্টারে এসে টিকিট পাচ্ছেন না।
পাকশী রেলওয়ে বিভাগ সূত্র জানায়, খুলনা থেকে ঈশ্বরদী হয়ে ঢাকাগামী আন্তঃনগর, ‘চিত্রা’ ও ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ট্রেন যাতায়াত করে৷ যান্ত্রিক বিষয়ে সাময়িক ত্রুটির কারণে ট্রেন দুটির এসি কেবিন ও চেয়ারকোচ আলাদা রেখে দেয়া হয়েছে৷ এতে আসন সংখ্যা কমে গেছে; যে কারণে যাত্রী দুর্ভোগ বেড়েছে অনেকটাই।
ট্রেনযাত্রী আলামিন হক বলেন, আমি নিয়মিত সুন্দরবন ট্রেনের এসি চেয়ারকোচে ঢাকা যাতায়াত করি। আগে অনলাইনে সহজেই টিকেট কাটতে পারতাম, তবে এখন এই ট্রেনে দুটি কোচ নেই। এ কারণে আসন সংখ্যা কমে গেছে, তাই টিকিট সংগ্রহ করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে৷
আরেকজন ট্রেনযাত্রী সাগর হোসেন বলেন, এমনিতেই ট্রেনের টিকিট পেতে সমস্যা হয়৷ তারপর আবার বগি সংকট। এখন তো টিকিট আর পাওয়া যায় না৷ আমরা খুব কষ্ট করে চলাচল করছি৷
এ বিষয়ে পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেন জানান, যান্ত্রিক কিছু ত্রুটি হয়েছে, এ কারণে ট্রেনের বগি খুলে রাখা হয়েছে, সেগুলো কারখানায় পাঠাতে হবে। এজন্য কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। আর এর মধ্যে যদি কোনো ট্রেনের বগি রিপ্লেস করা সম্ভব হয়; তাহলে সংযোজন করা যাবে। যাত্রীরাও এই ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবে।