শুক্রবার , ১১ নভেম্বর ২০২২ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. নির্বাচন

নিত্যপণ্যের বাজার করতেই বেতনের টাকা শেষ

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
নভেম্বর ১১, ২০২২ ৫:৩৯ অপরাহ্ণ
নিত্যপণ্যের বাজার করতেই বেতনের টাকা শেষ

নিত্যপণ্যের বাড়তি দামে নাজেহাল ভোক্তারা। বাজারে গত সাত দিনে অন্তত ১৫টি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বাজার ঘুরে দেখা গেছে লবণ, চিনি, ডাল, ভোজ্যতেল, ময়দা, আদা, রসুন, আটা, শুকনা মরিচ, ধনিয়া, হলুদ, লবঙ্গ, ছোলা ও জিরার মতো নিত্যপণ্য কিনতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস অবস্থা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজার তালিকাতেও বিষয়টি লক্ষ করা গেছে।

রাজধানীর কাওরানবাজার, শান্তিনগর ও নয়াবাজার কাঁচাবাজার এলাকার ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এর সত্যতা পাওয়া গেছে।

টিসিবি বলছে, গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে কেজিতে লবণের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ, চিনি ২ দশমিক ২৭ শতাংশ, মসুর ডাল ৪ দশমিক ২৬ শতাংশ, ময়দা ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ, আটা ৬ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।

এছাড়াও ভোজ্যতেল ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ, রসুন ৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, আদা ১৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ, শুকনা মরিচ ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ, ছোলা ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ, হলুদ ২ দশমিক ১৭ শতাংশ, ধনিয়া ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ, জিরা ৫ শতাংশ ও লবঙ্গ ২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, এক সপ্তাহ আগে ১১৫ টাকার চিনি এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। প্রতি কেজি ছোট দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা যা আগরে সপ্তাহে ছিল ১৩০ টাকা। মাঝারি দানার মসুর ডাল ১২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০ টাকা। এছাড়া খোলা আটা প্রতি কেজি ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬২-৬৩ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৬৩ টাকা থেকে বেড়ে ৬৬ টাকা, প্যাকেটজাত ময়দা ৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৭০ টাকা থেকে বেড়ে ১৭৫ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮৫ টাকা, পাম অয়েল সুপার ১৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া দাম বেড়েছে রসুন, শুকনা মরিচ, হলুদ, ধনিয়া ও জিরার। রাজধানীর কাওরানবাজারে বাজার করতে আসা আফজাল হোসেন বলেন, বাজারে সব পণ্য আছে, কিন্তু দাম বেশি। রিদওয়ান নামে আরেক ক্রেতা বলেন, বাজারে সপ্তাহে সপ্তাহে বাড়ছে প্রতিটি পণ্যের দাম। বেতনের টাকা এখন বাজারেই শেষ হয়। পরিবারের চাহিদা মেটাতে এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান সাংবাদিকদের বলেন, নিত্যপণ্যের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা নানা কারণ ও অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছেন।

ভোক্তারা এখন অসহায়, এ অবস্থায় পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। এ জন্য অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি রোধে জোরালো ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিদিনই অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বাজার তদারকি করা হচ্ছে। অনিয়ম পেলে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

error: Content is protected !!