শত বছরের পুরনো পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন। পশ্চিমাঞ্চল পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় ‘ঈশ্বরদী’ স্টেশনে সুইচ কেবিনে রিলে-ইন্টারলকিং পদ্ধতিতে সকল ট্রেন চলাচল করতো। এবার সেই পদ্ধতি বাদ দিয়ে কম্পিউটারইজড পদ্ধতিতে (আধুনিক প্রযুক্তি) চলাচল করবে ট্রেন।
ঈশ্বরদী-রূপপুর রেললাইন প্রকল্পের আওতায় বুধবার দুপুরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনের সুইচ কেবিনে কেক কেটে এর উদ্বোধন করেন।
এর আগে বেলা ১১টায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের দুই নম্বর প্লাটফর্মে খুলনা থেকে আসা রাজশাহী অভিমুখী আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রথম নতুন পদ্ধতিতে ছেড়ে যায়।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আসাদুল হক, পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ, পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) মমতাজুল ইসলাম প্রমুখ।
পাকশীর সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী এম এম রাজিব বিল্লাহ বলেন, ‘পূর্বে যেটা ছিল, রিলে-ইন্টারলকিং, দীর্ঘদিনের পুরনো হওয়ার কারণে ওই পদ্ধতিতে ট্রেন চলাচল করানো বেশ কঠিন হয়ে পড়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ের ঈশ্বরদী-রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের রেললাইন প্রকল্পের আওতায় ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে নতুন করে কম্পিউটারইজড সিস্টেমে ট্রেন চালানোর পদ্ধতি চালু করা হলো।’
তিনি আরও বলেন, ১৯৮৫ সাল থেকে পুরনো পদ্ধতিতে ট্রেনগুলো চালানো হতো। সেই পুরনো সিস্টেম বাদ দিয়ে সময়োপযোগী আধুনিক প্রযুক্তিতে ট্রেন চালানো বেশ সহজ হবে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহা ব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, এতদিন ঈশ্বরদীতে রিলে-ইন্টারলকিং সিস্টেমে ট্রেন চলাচল করানো হতো। এতে ট্রেন স্টেশনে আসার আগে আউটারে দাঁড়িয়ে থাকতো। এ সময় এটা চাপ দিতে হতো, ওটা চাপ দিতে হতো। এখন একটা বাটন চাপলে পুরো রেললাইন ক্লিয়ার হয়ে যাবে। ট্রেনগুলো সহজে চলাচল করবে। তাছাড়া এই পদ্ধতি বেশ সহজ ও সাশ্রয়ী। আগের পদ্ধতিতে খরচ বেশি ছিল।