রেলওয়ে নিক্সন মার্কেটে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত বিদেশি নাগরিকরা তাদের পছন্দের শীতের পোশাক ক্রয় করছেন। ঈশ্বরদীতে শীত জেঁকে বসতে সপ্তাহ খানেক বাঁকী থাকলেও।
ইতোমধ্যে ঈশ্বরদী উপজেলার ফুটপাত দখল করে গরম কাপড়ের বিপণি-বিতানগুলো পসরা সাঁজিয়ে বসেছেন।
তাই শীতের গরম কাপড় কিনতে দেশী থেকে শুরু করে বিদেশী, সব শ্রেনী-পেশার নানা বয়সী মানুষেরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী শীতের পোশাক ক্রয় করছেন।
ঈশ্বরদীর মার্কেটগুলো ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় অনেকটা মুখরিত শীত পোষাক বিক্রির দোকানগুলো। ব্যাস্ত সময় পার করছেন দোকানীরা।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সকালে উপজেলার ঈশ্বরদী স্টেশন সংলগ্ন রেল সুপার মার্কেট, পৌর সুপার মার্কেট, বঙ্গবন্ধু মার্কেট, মনির প্লাজা, জাকের প্লাজার বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়। বিপণি বিতান ও রেলওয়ে সুপার মার্কেটে শীতের পোষাকের পসরা সাঁজিয়ে বসে রয়েছেন দোকানীরা। শীতের সময় ফুটপাতের পোষাকের দোকানে বেশি বেচাকেনা হয়।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে সুপার মার্কেটে শীতের কাপড় কিনতে আসা তামান্না খাতুন জানান, ‘ছোট বাঁচ্চার- মুরব্বিদের শীতের গরম কাপড় কিনতে আসছি। অন্য সবগুলো মার্কেটে বেশি দাম হলেও রেলওয়ে নিক্সন মার্কেটে কাপড়ের দাম কিছুটা কম থাকায় সামর্থ্যমত কেনাকাটা করা যায়।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে সুপার মার্কেটের কাপড় বিক্রেতা ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, ‘ঈশ্বরদী হালকা শীত পড়েছে। তাই আগে থেকেই সবাই শীতকালের বিভিন্ন পোশাক ক্রয় শুরু করেছে। শীত বেশি পড়লে পোশাক বিক্রিও বেশি হয়।
ঈশ্বরদীর ফুটপাতে বসে শীতের গরম-কাপড় বিক্রেতা আবু ইছাহক বাংলানিউজকে জানান, ‘এবার সঠিক সময়ে শীত পড়বে। শীতের মাসেই হচ্ছে পৌষ-মাঘ, এই দুই মাসে ব্যবসা জমে উঠবে। এবার শীতের গরম কাপড় ইতিমধ্যে বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। অন্যান্য বারের চাইতে এ বছরে শীতের পোশাকের দাম একটু বেশি।
এদিকে দিনে গরম, রাতে ঠাণ্ডা পড়ার কারণে ছিন্নমূল অসহায় মানুষদের কিছুটা দুর্ভোগ হচ্ছে। অনেকে সামর্থ্যমত শীতে গরম কাপড় ক্রয় করছেন, কেউবা আবার অপেক্ষায়
আছে সরকারী-বেসরকারীভাবে সহযোগিতা কবে আসবে।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পি,এম,ইমরুল কায়েস জানান, ‘ সরকারীভাবে কোন সহযোগীতা পাওয়া যায়নি। সহযোগীতা পেলে সহায়তা করা হবে।