সরকার স্বস্তির বার্তা দিলেও নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা আগের মতোই। ক্রেতা-বিক্রেতাদের অভিযোগ, সংকটের আতঙ্ক ছড়িয়ে প্রতিদিনই চিনি ও আটা-ময়দার দাম বাড়ানো হচ্ছে। ডিম ও মুরগির বাড়তি দাম স্থিতিশীলতা থাকলেও কাঙ্ক্ষিত হারে কমছে না শীতকালীন শাকসবজি ও মাছের মূল্য।
বাজারে বেড়ে চলেছে প্রায় সব পণ্যের দর। পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাস ভিত্তিক হিসাবেও সেই প্রমাণ স্পষ্ট। তবে কমেছে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিক মূল্যস্ফীতি। আর তা নিয়েই উচ্ছ্বসিত পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, ‘সেপ্টেম্বর, অক্টোবর কমেছে। নভেম্বরেও ধারাবাহিকভাবে কমবে। আমি আপনাদের আরও আশ্বস্ত করতে চাই, দ্রব্যমূল্য দৃশ্যমানভাবে কমছে।’ কাগজে-কলমে মূল্যস্ফীতি কমাতে সরকার সচেষ্ট হলেও বাজারে নেই কোনো ছাপ। জ্বালানি সংকট, বিশ্ববাজারে মূল্যস্ফীতির দোহাই দিয়ে প্রতিনিয়তই বাড়ানো হচ্ছে আমদানি করা পণ্যের দাম। নজর নেই দেশীয় পণ্যের চাহিদা ও জোগান সমন্বয়ে। তাই তো মন্ত্রীর কথায়ও ভরসা পাচ্ছেন না ক্রেতা-বিক্রেতাদের কেউই।
ক্রেতাদের বক্তব্য অনুযায়ী, দৃশ্যমানভাবে দ্রব্যমূল্যের দাম তারা কমতে দেখছেন না।
এক ক্রেতা বলেন, ৩০০ টাকার রুই মাছ এখন কেজিতে ৪০০ টাকা দিতে হচ্ছে। আরেক ক্রেতার ভাষায়, দ্রব্যমূল্য বাড়লেও আমাদের বেতন বাড়ছে না। তাই চলতে হচ্ছে সঞ্চয় থেকে খরচ করে। রাজধানীর শান্তিনগরের একটি বাজারে অনেকটাই স্বাভাবিক চিনি-আটা-ময়দার সরবরাহ। তবু নেয়া হচ্ছে বাড়তি দাম। এজন্য ভোক্তা শ্রেণি বিক্রেতাদের দুষলেও বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ খুচরা ব্যবসায়ীদের। খুচরা বিক্রেতাদের কথায়, খোলা ময়দার দাম বেড়েছে। আর প্যাকেট ময়দা ১৪৫ টাকা থেকে হয়েছে ১৬৪ টাকা। এদিকে শীতকালীন শাকসবজির জোগান বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত হারে কমেনি দাম। মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও ক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি মূল্য।
