বৃহস্পতিবার , ৬ অক্টোবর ২০২২ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট : পদোন্নতির জটিলতায় থমকে আছে গবেষণা

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
অক্টোবর ৬, ২০২২ ৫:০১ অপরাহ্ণ
সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট : পদোন্নতির জটিলতায় থমকে আছে গবেষণা

√ পছন্দের ব্যক্তিদের প্রাধান্য দিতে গিয়ে ইনস্টিটিউটের তৎকালীন মহাপরিচালক জ্যেষ্ঠতা বিধিমালা লঙ্ঘন করেন।
√ পদোন্নতি বন্ধ থাকায় গবেষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি হয়েছে।
√ সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে গবেষকেরা বিক্ষোভ করে তাঁদের দাবির কথা জানিয়েছেন।


পাবনার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএসআরআই) গবেষকদের ১১৪টি পদ রয়েছে। সেখানে কর্মরত আছেন ৮৩ জন। বাকিরা উচ্চতর ডিগ্রি নিতে বিদেশে আছেন। মামলাসংক্রান্ত জটিলতায় ১১ বছর ধরে কর্মরত গবেষকদের পদোন্নতি বন্ধ ছিল। এখনো পদোন্নতি নিয়ে আছে নানা সমস্যা। ফলে থমকে আছে ইনস্টিটিউটের গবেষণা কার্যক্রম।

ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখানে টিস্যু কালচার, চিনি রসায়ন, রোগতত্ত্ব, কীটতত্ত্ব, কৃষিতত্ত্ব, প্রশিক্ষণ, মাঠ পর্যবেক্ষণ, খামার, প্রকৌশল ও প্রশাসন বিষয়ে গবেষণা হয়। ইনস্টিটিউটে গবেষকদের ১১৪টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে ৩১ জন উচ্চতর ডিগ্রি নিতে বিদেশে আছেন। বাকি ৮৩ জনের মধ্যে ২০১৯ সালে সর্বশেষ ২৬ জনের পদোন্নতি হয়েছে। অন্যদের পদোন্নতি না হওয়ায় ২০১১ সালের পর থেকে চিফ সায়েন্টিফিক অফিসারের (সিএসও) ১৬টি পদ, প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসারের (পিএসও) ২টি পদ ও সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসারের (এসএসও) ৩টি পদ শূন্য রয়েছে।

ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হাসিবুর রহমান বলেন, চলমান জটিলতা নিরসনের দাবিতে গত ২৩ জানুয়ারি ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত আবেদন দেওয়া হয়েছে। আবেদনের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে আছে। এরপরও সমস্যা সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

১৯৯৬ সালে গবেষণাপ্রক্রিয়াকে গতিশীল করতে ‘বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট জোরদারকরণ’ নামের একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্পটিতে ২৮ গবেষকসহ ৮১ কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিলেন। ২০০৩ সালে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হলে ২০০৪ সালে ১ জানুয়ারি থেকে প্রকল্পে ৭৪টি পদ রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হয়। এর মধ্যে ২৮ জন গবেষকসহ ৫২ জনকে পদায়ন করা হয় ঈশ্বরদীর গবেষণা ইনস্টিটিউটে। একই সঙ্গে তাঁদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ বিধিমালা অনুযায়ী পদায়নের নির্দেশনা দেয় সংস্থাপন মন্ত্রণালয়। পরে ২০০৭ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ৫২ জনের মধ্যে ২০ গবেষককে নিয়মিত করে সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট।

দায়িত্বরত গবেষকদের দাবি, নিয়মিতকরণের এ প্রক্রিয়াতেই জটিলতার সূত্রপাত হয়। নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের প্রাধান্য দিতে গিয়ে ইনস্টিটিউটের তৎকালীন মহাপরিচালক জ্যেষ্ঠতা বিধিমালা লঙ্ঘন করেন। এতে ক্ষুব্ধ হন অন্য গবেষকেরা। জ্যেষ্ঠতা বিধিমালা অনুসরণ চেয়ে আদালতে মামলা করেন ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আতাউর রহমানসহ চার গবেষক। এতে ঝুলে যায় সব প্রকার পদোন্নতি। দীর্ঘ সময় পর ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালত গবেষকদের পক্ষে রায় দেন।

গবেষকদের অভিযোগ, আদালতের রায়ের পরও জ্যেষ্ঠতা বিধি লঙ্ঘন করে গবেষকদের একটি তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সে অনুযায়ী পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়েছে। ফলে জটিলতা থেকেই যাচ্ছে। আর এ জটিলতার কারণে দীর্ঘ ১১ বছর ধরে কর্মরত গবেষকদের পদোন্নতি বন্ধ ছিল।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা গাজী আকরাম হোসেন ও রঞ্জিত চন্দ্র কবিরাজ বলেন, পদোন্নতি হচ্ছে কাজের অনুপ্রেরণা। দীর্ঘদিন এ অনুপ্রেরণা বঞ্চিত হয়ে গবেষকদের মন ভালো থাকছে না। এতে কোনো কাজও এগোচ্ছে না।

মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কুয়াশা মাহমুদ বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ২০১৫ সালে তাঁর চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার (সিএসও) পদে পদোন্নতি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মামলার জটিলতায় তিনি সাত বছর ধরে পদোন্নতিবঞ্চিত রয়েছেন।

এ বিষয়ে বিএসআরআই মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন বলেন, গবেষণা থমকে যাচ্ছে, এটা ঠিক নয়। গবেষণা কার্যক্রম যথানিয়মেই চলছে। গবেষকদের পদোন্নতির জন্য তাঁরাও চেষ্টা করছেন।

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ