গত নির্বাচনের আগে দেওয়া সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের দাবিতে সারা দেশের ন্যায় সকাল-সন্ধ্যা গণ–অনশন করছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর শাখা। শনিবার সকালে শুরু হওয়া এই অনশন চলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঈশ্বরদীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বিভিন্ন সংগঠনের কয়েক শ নেতা–কর্মী উপস্থিত হয়েছেন এ কর্মসূচিতে। অনশনের পূর্বে বাজারের ১ নং গেট চত্ত্বরে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঐক্য পরিষদের উপজেলা কমিটির সভাপতি সন্তোষ সরকারের সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গোপাল অধিকারী কর্মসুচী পরিচালনা করেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুনীল চক্রবর্তী, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডু, আশুতোষ কুমার পাল, আমাদের ঈশ্বরদীর সম্পাদক দেবদুলাল রায়, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি বাবু পান্ডে, উৎপল সরকার, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস সাহা, পৌর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি পার্থপ্রতিম দাস ও বন্ধন একতা সংঘের সভাপতি হরিপদ সরকার।
২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারি দলের প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করা। কিন্তু বর্তমান সরকার এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেনি বলে জানাচ্ছেন নেতারা।
এসময় উমাশংকর আগরওয়াল, মাধব পাল, কার্তিক ঘোষ, সন্তোষ সরদার, রঞ্জু ভৌমিক, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ পৌর কমিটির সম্পাদক সুকুমার চক্রবর্তী, ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক সুমন দাস, উত্তম সাহা, সুমন সাহা, মনি দাস, গণেশ পাল, অলক মৈত্র, দীপংকর কুমার, সুমন সরকার, পরিতোষ দাস, সৈকত সাহা, দিপংকর কর্মকার, বিপুল অধিকারী, বিদ্যুৎ কুন্ডুসহ বিভিন্ন সংগঠন ও মন্দিরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।