ঈশ্বরদীতে খামারে ডিমের দাম কমলেও পাইকারি ও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। গত সপ্তাহে হঠাৎ করে খামারে ডিমের দাম বেড়ে যায়। এসময় খামারিরা পাইকারদের কাছে প্রতিটি ডিম ১১.২০ টাকা দরে বিক্রি করে। ফলে পাইকারি বাজারে প্রতি পিস ডিম ১৩.৮০ টাকা এবং খুচরা দোকানে প্রতি পিস ডিম ১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়।
গত তিনদিন ধরে খামারে ডিমের দাম কমে ৯.৮০ টাকা দরে বিক্রি হলেও পাইকারি বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ১৩.৫০ টাকা দর এবং খুচরা বিক্রেতারা এখনও ১৫ টাকা দরে এখনও ডিম বিক্রি করছে।
১৬ আগষ্ট হতে মুরগীর বাচ্চা ও ফিডের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। দাম বাড়ানো হলে প্রতিটি ডিমের দাম ২০ টাকায় ঠেকবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
জাতীয় পদকপ্রাপ্ত ঈশ্বরদীর খামারি আকমল হোসেন জানান, মাত্র ৫-৬ দিন বেশী দামে অর্থাৎ ১১.২০ টাকা দরে প্রতিটি ডিম বিক্রি করেছি। তিনদিন ধরে ডিমের দাম পড়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার প্রতি ডিম ৯.৮০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। প্রতিটি ডিমে খরচ পড়ে ৯ টাকা। আরআরপি ও আফিল হ্যাচারির লেয়ার বিক্রি করে দেওয়ায় ডিমের দাম হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের তেমন একটা লাভ হয়নি, লাভ করেছে ব্যবসায়ীরা।
মুরগীর বাচ্চা ও ফিডের দাম অনেক বাড়ানো হচ্ছে বলে শুনেছি। এতে প্রতিটি ডিমের দাম ২০ টাকা হবে। ঈশ্বরদীতে ২৫০-২৬০টির মতো খামার ছিলো। এখন রয়েছে প্রায় ১০০টি। ফিডের দামের সাথে তাল মিলিয়ে ডিমের দাম না বাড়লে আরও খামার বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।