সম্প্রতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ দল রাশিয়ার পেত্রোজাভোদস্কমাশ কারখানা পরিদর্শন করে। এই কারখানাতেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের উভয় ইউনিটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি নির্মিত হচ্ছে।
প্রতিনিধি দলটি সংযোজন এবং ওয়েল্ডিং সেকশনে রূপপুর প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত যন্ত্রপাতি নির্মাণ প্রক্রিয়া সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেন। তাদেরকে বিশেষত ভেসেল ইকুইপমেন্ট, বাষ্প জেনারেটর, কালেক্টর এবং কুল্যান্ট পাইপলাইনের নির্মাণ কার্যক্রম ঘুরে দেখানো হয়। এসময় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন পেত্রোজাভোদস্কমাশের শাখা পরিচালক আনাতলি স্মিরনভ।
‘স্টেট অফ দ্য আর্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে রূপপুর প্রকল্পের যন্ত্রপাতি
নির্মিত হচ্ছে’-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান
ইয়াফেস ওসমান তার মন্তব্যে জানান যে রূপপুর এনপিপির নির্মাণ বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রভাবক হিসেবে ভূমিকা রাখছে। তার মতে স্টেট-অফ-দা-আর্ট পদ্ধতি অনুসরণ করেই রূপপুর প্রকল্পের জন্য যন্ত্রপাতি নির্মীত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, “আপনারা (রুশ পক্ষ) কাজের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পার্ফেকশনিজম প্রদর্শন করছেন এবং আমরা অত্যন্ত আশাবাদী যে চুক্তির আওতাভূক্ত সকল বাধ্যবাধকতা যথাযথ ভাবেই পূরণ হবে”।
রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রসাটমের প্রকৌশল বিভাগ জেনারেল কন্ট্রাকটর হিসেবে রূপপুর এনপিপি’র নির্মাণের দায়িত্ব পালন করছে। এই প্রকল্পে ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর ভিত্তিক দু’টি ইউনিট থাকবে যার প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১,২০০ মেগা-ওয়াট। ইউনিটগুলোর লাইফ সাইকেল ৬০ বছর তবে তা আরো ২০ বছর পর্যন্ত বর্ধিত করা সম্ভব হবে। এইএম টেকনোলজিস রূপপুর প্রকল্পের রিয়্যাক্টর হলগুলোর মূল যন্ত্রপাতি নির্মাণ করছে।
রসাটম মেশিন প্রস্তুতকারী বিভাগের অধীন এইএম টেকনোলজিসের একটি কারখানা হচ্ছে পেত্রোজাভোদস্কমাশ।