ঈদুল আজহা বা কোরবানি এলেই গরুসহ বিভিন্ন পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকেন খামারিরা। পশুর হাট-বাজার বা দেশজুরে শোনা যায় বিভিন্ন পশুর বাহারি সব নাম। বিভিন্ন জাতের বিশাল আকার-আকৃতির এসব পশুর ওজন আর দাম নিয়ে রীতিমত হৈচৈ পড়ে যায় বিভিন্ন এলাকায়। তেমনই কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য একটি গরু প্রস্তুত করেছেন ঈশ্বরদীর এক খামারি। গরুটির ওজন ৩০-৩৫ মণ বলে দাবী ওই গরুর মালিকের।
চার বছর আগে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মাড়মী গ্রামের রেজাউল করিম ৫৭ হাজার টাকায় কেনেন ছোট্ট একটি গরু। সেই গরুটি দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করেছেন তিনি। বর্তমানে ফিতার মাপ আর স্থানীয়দের অনুমানে এই গরুর ওজন দাবী করেছেন ৩০ মণ। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রয়েছে প্রাকৃতিক সব খাবার। চলন বলনে বেশ তেজী আর মেজাজি এই গরুর নাম রেখেছেন পাগলা রাজা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতার পাশাপাশি উৎসুক জনতা ভীড় করছেন গরুটি দেখার জন্য। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু ব্যবসায়ী আর ক্রেতারা আসছেন তার বাড়িতে, চলছে দর কষাকষি। আশপাশে এমন বড় গরু আর দেখেননি বলছেন প্রতিবেশীরাও।
গত চার বছর ধরে দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করা এই গরুটির দাম হাকা হচ্ছে ১০-১২ লাখ টাকা। প্রতিদিন যে পরিমান খাবারের খরচ হয় তাতে এই গরুটি বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন না, এমন ধারনা করছেন এই খামারি। তবে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে গরুটি বিক্রি করতে চান তিনি।