“শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ” এমন স্লোগানের ধারাবাহিকতাই ঈশ্বরদী সরকারি কলেজে অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীন বরন, কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২০ জুলাই) কলেজ প্রাঙ্গনের মারুফ হাসান মঞ্চে দিনব্যাপি জাঁকজমকপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.পরিতোষ কুমার কুন্ডুর সভাপতিত্বে ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম মুরাদের সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় সংসদ সদস্য পাবনা-৪(ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ নুরুজ্জামান বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিথ ছিলেন ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব নায়েব আলী বিশ্বাস,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলি, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মুরাদ মালিথা, তৌহিদুজ্জামান দোলন বিশ্বাস। আরো উপস্থিথ ছিলেন কলেজের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ সহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রধান অতিথি নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি বলেন, ১৯৬৮ সন থেকে ১৯৭৩ সন দীর্ঘ সময় এ কলেজে আমি নেতৃত্ব দিয়েছি। কখনও ছাত্র হিসেবে কখনও রাজনৈতিক দিক থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। আমার রাজনীতির সিংহভাগ অর্জন করেছি এই কলেজ থেকে। আমাদের ঈশ্বরদীর নামকরা এই কলেজকে এগিয়ে নিতে ও এখানকার শিক্ষার মান ত্বরানিত করতে সর্বাত্বক সহযোগিতা থাকবে আমার। প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থী এই কলেজে অধ্যয়নরত, ইতিপূর্বে অনেকেই কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে দেশের বিভিন্ন বড় বড় জায়গাই অধিষ্ঠিত যা এই কলেজের জন্য অনেক বড় সুনামের। কলেজের সার্বিক উন্নয়নের জন্য শিক্ষক-কর্মচারি সহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ঈশ্বরদীর অনেক শিক্ষার্থী এই কলেজে ভর্তি হতে পারেনা, অনেক দুরে ভর্তি হয়। তারা যেন ঈশ্বরদীতেই ভর্তি হয়ে এই কলেজের হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে তার জন্য একটা কলেজের প্রস্তাব নিয়ে যাব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।
কলেজ অধ্যক্ষ ড.পরিতোষ কুমার কুন্ডু বলেন, জেলার ২য় বৃহত্তম কলেজ হিসেবে পরিচিত ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ। আমি ৯০ দিন যাবত কলেজের দায়িত্ব পালন করছি, ইতিমধ্যে কলেজের পুরতন ভবন সংস্কার করা সহ কলেজের শিক্ষার্থীদের বিনোদন ও শারিরীক সুস্থ্যতার বিষয়টি মাথায় রেখে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি। কলেজের জরাজীর্ন অবস্থার পরিবর্তন করে কলেজ কে নতুন রুপে উপস্থাপন করা সহ শিক্ষার মান উন্নত থেকে উন্নত করবো। তিনি আরও বলেন, ক্রীড়া শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আব্দুল আওয়াল ও জাহাঙ্গীর আলম। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শেষাংশে বিজয়ী শিক্ষার্থী ও উপস্থিত বিশেষ ব্যাক্তিবর্গের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।