তন্ময় দেবনাথ, রাজশাহী : রাজশাহীর বাঘায় ট্রাক,ট্রাক্টর,ট্রলীর ও কুত্তা গাড়ী দ্বারা যত্র-তত্র ভাবে ভরাট, বালু ও পুকুর খননের মাটি বহন করার কারনে রাস্তায় অসহ্য ধুলো-বালি উড়ার ফলে শিক্ষার্থী ও পথচারীরা অতিষ্ঠ। অথচ দেখার কেউ নেই। এ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
খোজ নিয়ে জানা গেছে,উজেলার সাথে যোগাযোগের অধিকাংশ সড়ক জুড়ে চলছে ট্রাক,ট্রাক্টর,ট্রলীর ও কুত্তা গাড়ী দ্বারা যত্র-তত্র ভাবে ভরাট,বালু পুকুর খননের মাটি বহনের কাজ। এসব সড়ক দিয়ে স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা,ও কিন্ডার গার্টেনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য শিক্ষার্থী পায়ে হেঁটে প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন। সেই ধুলো বালি উড়ে শিক্ষার্থীদের-চোখে মুখে পড়ে স্বর্দি-কাশি,শ্বাসকষ্টও চোখের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই।
একাধিক প্রতিষ্ঠান প্রধান জানান, উপজেলার সাথে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যমে সংযোগ সড়কগুলো। কিন্তু সড়কগুলো জুড়ে অতিমাত্রায় ধুলো-বালির কারনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীরা।
মোজাহার হোসেন মহিলা ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির খুশি খাতুন,তাসমিয়া তাবাসসুম মিমসহ একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, সড়ক দিয়ে নিয়মিত কলেজে যাতায়াতে সময় ধুলো-বালির কারনে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এমনকি মাস্ক ব্যাবহার করের কাজে আসেনা। ধুলো-বালিতে নানান সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন,যে পোশাক পরিধান করে প্রতিষ্ঠানে আসি ধুলা-বালিতে ময়লা হওয়ার কারনে সে পোশাক পরিধান করে পরেদিন আর প্রতিষ্ঠানে আসার উপযোগী থাকেনা। তারা বলেন,সড়কে ঠিকাদারা প্রতিদিন যদি পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করেন তাহলে সাময়িক ভাবে ধুলা-বালি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হয়।
সচেতন মহল বলেন, সতর্কতার সাথে গাড়ীর বালি-ভরাটগুলো ঢেকে যদি বহন করা হয় তাহলে পরিবেশ দূষণসহ দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাবে শিক্ষার্থী,রাস্তা-ঘাটের জনসাধারণ,রাস্তা সংলগ্ন বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো।
বাঘা থানা মৌড়ের দোকানি আঃ মান্নান, আানার আলী,ও হাফিজুর রহমানসহ অনেকেই বলেন,সারাদিন দোকানে বসে থাকতে গিয়ে সড়কের ধুলো-বালিতে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। প্রতিদিন দোকানের সামনে দুইবেলা পানি ছিটিয়েও কাজ হয়না। দোকানের মালামালে ধুলোর প্রলেপ পড়ে যায়।
ভ্যান চালক হযরত আলী বলেন, ধুলো’র কারণে সড়কগুলো দিয়ে ভ্যান চালানোর উপায় থাকেনা। ইঞ্জিন চালিত যে কোন গাড়ি গেলেই ধুলোয় যাত্রীদের সমস্যা হয়।
এ ছাড়া ট্টাক্টর,ট্রাক,ট্রলি ও কুত্তা গাড়ীর চালকদের মধ্যে অধিকাংশ অল্প বয়সের অপরিপক্ষ। তাদের নেই কোন প্রশিক্ষণও লাইসেন্স ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রাশেদ আহাম্মেদ আমাদের ঈশ্বরদীকে বলেন, ধুলো-বালির কারণে মানুষের স্বর্দি,কাশি, শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হতে পারে,এছাড়াও যাদের অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে তাদের এ সমস্যাটা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।
উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার ফৌজদার বলেন,যে সব সড়কের মেরামত কাজ চলছে সে গুলো দ্রুত শেষ করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানাআমাদের ঈশ্বরদীকে জানান,বালি, ভরাট,মাটি বহনের ক্ষেত্রে ড্রাইভারদেকে বালি, ভরাট,মাটি ঢেকে খুব be সতর্কতার সঙ্গে বহন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যদি কেউ এ নিয়ম অমাম্য করে। তার বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।