বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ২৪ বিশিষ্ট নাগরিককে ‘একুশে পদক-২০২২’ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি এসব পদক প্রদান করেন তিনি। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিশিষ্টজনদের হাতে পদক তুলে দেন আ. ক.ম. মোজাম্মেল হক। ওসমানী মিলনায়তনে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এ বছর ভাষা আন্দোলনে ভূমিকা রাখার জন্য দুইজনকে মরণোত্তর, ভাষা-সাহিত্যে দুইজন, শিল্পকলায় সাতজন, মুক্তিযুদ্ধে চারজন, সাংবাদিকতায় একজন, গবেষণায় চারজন, শিক্ষায় একজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একজন এবং সমাজসেবায় দুইজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে এই পদক প্রদান করা হয়েছে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ বছর একুশে পদক পাওয়া বিশিষ্টজনদের নাম ঘোষণা করা হয়। ২০২২ সালের একুশে পদক দেওয়ার জন্য মনোনীত ব্যক্তিরা হলেন- ভাষা আন্দোলনে মোস্তফা এম এ মতিন (মরণোত্তর) ও মির্জা তোফাজ্জল হোসেন (মুকুল) (মরণোত্তর)।
শিল্পকলা (নৃত্য) বিভাগে জিনাত বরকতউল্লাহ, শিল্পকলা (সঙ্গীত) বিভাগে নজরুল ইসলাম বাবু (মরণোত্তর), ইকবাল আহমেদ ও মাহমুদুর রহমান বেণু। অভিনয়ে খালেদ মাহমুদ খান (মরণোত্তর), আফজাল হোসেন ও মাসুম আজিজ।
মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী (মরণোত্তর), কিউ এ বি এম রহমান ও আমজাদ আলী খন্দকার। সাংবাদিকতায় এম এ মালেক। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মো. আনোয়ার হোসেন। শিক্ষায় অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। সমাজসেবায় এস এম অব্রাহাম লিংকন ও সংঘরাজ জ্ঞানশ্রী মহাথের।
ভাষা ও সাহিত্যে কবি কামাল চৌধুরী ও ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থ। গবেষণায় ড. মো. আবদুস সাত্তার মণ্ডল, ড. মো. এনামুল হক, ড. সাহানাজ সুলতানা ও ড. জান্নাতুল ফেরদৌস।