বুধবার , ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ঈশ্বরদী
  5. করোনাভাইরাস
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. নির্বাচন
  14. পাবনা
  15. ফিচার

ঈশ্বরদীতে ভেজাল ৬ হাজার বস্তা সার কিটনাশক জব্দ : তিন গোডাউন সিলগালা

প্রতিবেদক
বার্তা কক্ষ
ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২ ১:৪৯ অপরাহ্ণ
ঈশ্বরদীতে ভেজাল ৬ হাজার বস্তা সার কিটনাশক জব্দ : তিন গোডাউন সিলগালা

নামী বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেট, লেবেল লাগিয়ে উৎপাদিত প্রায় ছয় হাজার বস্তা দানাদার ও তরল ভেজাল সার ও কিটনাশক জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে অবৈধ ও ভেজাল সার ও কিটনাশক রাখা তিনটি গোডাউনকে সিলগালা করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য অর্ধ কোটি টাকা।

আজ বুধবার ( ০২ ফেব্রুয়ারি ) বিকেলে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কৃষি কর্মকর্তা যৌথ উদ্যোগে উপজেলার সলিমপুর ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন পরিত্যাক্ত ধান চাতাল মিল গোডাউনে অভিযান চালিয়ে এসব ভেজাল পণ্য জব্দ ও সিলগালা করা হয়।
উদ্ধারকৃত কৃষিপণ্যের মধ্যে বিভিন্ন নামী-দামী কোম্পানির লেবেল সংযুক্ত প্যাকেজিং করা দানাদার জিপসাম সার, লবন, ক্যালসিয়াম কার্বনেট, বোরণ ও বোতল এবং ড্রাম ভর্তি বিভিন্ন কিটনাশক রয়েছে। আর এসব ভেজাল ও অবৈধ কারবারীরা হলেন- ঈশ^রদীর সলিমপুর ইউনিয়নের শেখেরদাইড় গ্রামের সফর আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম, একই ইউনিয়নের চরমিকামারি গ্রামের গুড় বিক্রেতা মতলেবের ছেলে মাসুদ রানা এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের হালিম।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং কৃষি কর্মকর্তার অফিস সুত্রে জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে জহুরুল ইসলাম, মাসুদ রানা ও হালিম আইকে রোডস্থ সলিমপুর ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন পরিত্যাক্ত তিনটি ধান চাতালের গোডাউন ভাড়া নিয়ে কৃষি কাজে ও ফসলে ব্যবহৃত বিভিন্ন দামী ও বৈধ কোম্পানির লেবেল ও প্যাকেটে ভরে ভেজাল সার ও কিটনাশক বাজারজাত করে আসছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকারের দেওয়া তথ্যে ঈশ^রদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পিএম ইমরুল কায়েস অভিযান চালান। অভিযানে তিন গোডাউনে বিভিন্ন কোম্পানির লেবেল ও বস্তায় বিপুল পরিমাণে ভেজাল সার, কিটনাশক ও ড্রাম ভর্তি বিভিন্ন রাসায়নিক তরল পদার্থ পাওয়া যায়। তবে অভিযানের খবর পেয়ে আগেই ভেজালপ্রস্তুতকারী ও তাদের লোকজন পালিয়ে যায়।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার বলেন, এসব ভেজাল সার, কিটনাশক ফসলের জন্য চরম ক্ষতিকর। রাষ্ট্রি অর্থের অপচয় হয়। পাশাপাশি কৃষকরা প্রতারণায় শিকার হচ্ছেন।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পিএম এমরুল কায়েস বলেন, অভিযানে ভেজাল কারবারীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাদের গ্রেফতার চেষ্টা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভেজাল সার ও কিটনাশক ভর্তি তিনটি গোডাউন সিলগালা করা হয়েছে।

ইউএনও আরো বলেন, সিলগালা করা গোডাউন ভর্তি ভেজাল সার ও কিটনাশকগুলোর বিষয়ে আদালতকে অবগত করা হবে। আদালতের আদেশে পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।


আরো পড়ুন :

ঈশ্বরদীতে গরীবের আটা ওজনে কম দেওয়ার ঘটনায় ধরা পড়ে ক্ষমা চেয়ে রক্ষা

ঈশ্বরদীতে ইট সুরকির ৬ রাস্তা পদ্মার বুক চিরে!

সর্বশেষ - ঈশ্বরদী

দুঃখিত,এই ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করা নিষিদ্ধ