ঈশ্বরদীতে ওএমএস ডিলার এক আওয়ামী লীগ নেতার দোকানে ১৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা গরীবের আটা ওজনে কম দেওয়ার ঘটনা ধরা পড়েছে। বিক্ষুব্ধ শত শত ক্রেতারা ওই নেতার দোকানে গিয়ে বিক্ষোভ ও ভাংচুর করার পর খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে আটা ওজনকারী স্বপন সবার সামনে তার দোষ শিকার করে দুহাত জোড় করে ক্ষমা চাইলে পরিবেশ কিছুটা শান্ত হয়। রোববার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের বিমান বন্দর রোডে স্কুলপাড়া ইয়াছিন হাজির মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনাটি স্থানীয় রিজভি আহমেদ জিম তার ‘দুরন্ত রাজ’ নামের ফেসবুকে লাইভ প্রচার করলে ঘটনাটি মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করে বলেন, গোকুলনগর গ্রামের দরীদ্র এক নারী ১৮ টাকা কেজি দরে ওএমএস এর ডিলার সাঁড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম রতনের দোকান থেকে দশ কেজি আটা কিনে স্থানীয় চপলের দোকানে ওজন করে এক কেজি আটা কম পান। তিনি সে আটা নিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে ডিলারের নিকট নিয়ে অভিযোগ দিলে অন্য ক্রেতারাও তাদের আটার ব্যাগ ওজন করে প্রত্যেক ব্যাগে ৯০০ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত আটা কম পায়। এক এক করে অনেকেই এভাবে ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি টের পেয়ে হামলে পড়ে ওই আওয়ামী লীগ নেতার ওএমএস ডিলারের দোকানে। তারা আটা ওজন কারী স্বপন হোসেনকে মারধর ও ডিলারের চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে। এ নিয়ে ব্যাপক হৈ হুলোড় শুরু হলে ঈশ্বরদী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঈশ্বরদী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোঃ মানিক মিয়া জানান, ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি পুলিশের তদন্তেও তাৎক্ষনিকভাবে প্রমানিত হয়েছে। পরে ওজনের যন্ত্র বদলে নতুন যন্ত্রে আটা ওজন করে বিক্রি করার ব্যবস্থা করা হয়। ডিলার আনোয়ারুল ইসলামের কর্মচারী স্বপন ওজনে কম দেওয়ার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করে সবার সামনে হাতজোড় করে মাফ চাইলে পরিবেশ শান্ত হয়।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ওএমএস ডিলার আনোয়ারুল ইসলাম রতন বলেন, প্রতিদিন ২০০ জনের মধ্যে দশ কেজি করে আটা বিক্রি করা হয়। সেখানে ৫০০ মানুষ আটা কিনতে জড়ো হলে অতিরিক্ত মানুষের চাপে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে হট্টগোলের কারনে ওজনে একটু আধটু কম হতে পারে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার কর্মচারী স্বপনকে মারধর ও দোকানের চেয়ার ভাংচুর করা হয়েছে।