গভীর রাতে অভিনেত্রী স্পর্শিয়া ও তার বন্ধু প্রাঙ্গন দত্ত অর্ঘকে (৩৩) আটক করে রাজধানীর ধানমন্ডি থানা পুলিশ। পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তারা। পুলিশ বলছে, মদ্যপ অবস্থায় পুলিশের সঙ্গে অসাদচারণ করায় তাদের থানায় নেওয়া হয়েছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে ধানমন্ডির ৮/এ রোডে ইউনিমার্ট শপিং সেন্টার এলাকায় ধানমন্ডি থানার এসআই মাহবুব উল আলম এবং এসআই মাইনুল ইসলাম টহল উিউটিতে ছিলেন। রাত ১২ টার দিকে আবাহনী মাঠের দিক থেকে জিগাতলার দিকে একটি অভিজাত প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্টো-ঘ-১৭-৪০৭২) বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। ইউনিমার্টের সামনের সড়কে একটি রিকশায় ধাক্কা দেওয়ার উপক্রম হয়েছিল গাড়িটি। এসআই মাহবুব গাড়িটি থামার সংকেত দেন।
ওই গাড়িতে ছিলেন অভিনেত্রী স্পর্শিয়া ও তার বন্ধু প্রাঙ্গন দত্ত অর্ঘ। প্রাঙ্গন গাড়ি চালাচ্ছিলেন আর পাশের সিটে ছিলেন স্পর্শিয়া। তাদের গাড়ি কেনো থামানো হয়েছে-এমন প্রশ্ন করে পুলিশের ওপর চড়াও হন তারা। পুলিশের সঙ্গে অসাদাচরণ করেন। মদ্যপ অবস্থায় কিনা প্রাঙ্গনের কাছে জানতে চায় পুলিশ। এসময় প্রাঙ্গন বলেন, তার মদপানের লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু তখন লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। এক পর্যায়ে গাড়িসহ তাদের ধানমন্ডি থানায় নেওয়া হয়। পরে রাতেই প্রাঙ্গন মুচলেকা দেন থানায়। এরপর স্পর্শিয়া ও তিনি ছাড়া পান। মদ্যপ অবস্থায় থাকার কথা মুচলেকায় উল্লেখ করেন প্রাঙ্গন। অবশ্য মুচলেকায় স্পর্শিয়ার নাম উল্লেখ করেননি।
এসআই মাহবুব বলেন,’গাড়ি কেনো থামানো হয়েছে, এই প্রশ্ন তুলে প্রাঙ্গন খারাপ আচরণ করেন। স্পর্শিয়াও চিৎকার চেচামেচি করছিলেন। অবশ্য আমরা তার সঙ্গে কথা বলেনি। যেহেতু প্রাঙ্গন মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাই তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সিনিয়র স্যারদের সঙ্গে কথা বলে থানায় নেওয়া হয়।
ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া সমকালকে বলেন, দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে পুলিশ গাড়ি থামিয়ে প্রাঙ্গনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গাড়িতে স্পর্শিয়া ছিল। তারা পুলিশের সঙ্গে অসাদচারণ করেন। এ কারণে তাদের থানায় নেওয়া হয়েছিল। রাতেই মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাদের।
স্পর্শিয়া বলেন,’ আমাদের এমন কিছু হয়নি। গাড়ির সামনে একটা রিকশার সাথে হালকা ধাক্কা লেগেছিল। বড় কোন ইস্যু নয়।